ইসলামী সঙ্গীত লিরিক্স

Sunday 29 December 2013

আমি ক্ষুদ্র তাই, বুঝিতে পারি না

আমি ক্ষুদ্র তাই, বুঝিতে পারি না -
ওগো মহা মহীয়ান,
তুমি সব খানে বিরাজমান ।

পাহাড় সাগরে, নদীর কল্লোলে
ঝরণার নূপুরে, বাতাসের হিল্লোলে
কোকিল পাপিয়া বিহগের কণ্ঠে -
শুনি তোমার গুণগান ।
তুমি সব খানে বিরাজমান ।

গ্রহ রবি, তারকা পুন্জে
সোনা ফলা মাঠে, ঘন নিকুন্জে
ধূসর মরু তপ্ত বালুকায় -
দেখি সদা তোমার শান ।
তুমি সবখানে বিরাজমান ।

শহীদি ঈদ - কাজী নজরুল ইসলাম

চাহি না ক গাভী দুম্বা উট,
কতটুকু দান? ও দান ঝুট।
চাই কোরবানি, চাই না দান।
রাখিতে ইজ্জত ইসলামের
শির চাই তোর, তোর ছেলের,
দেবে কি? কে আছ মুসলমান?

ওরে ফাঁকিবাজ, ফেরেব-বাজ,
আপনারে আর দিস্নে লাজ,-
গরু ঘুষ দিয়ে চাস্ সওয়াব?
যদিই রে তুই গরুর সাথ
পার হয়ে যাস পুলসেরাত,
কি দিবি মোহাম্মদে জওয়াব!

গরুরে করিলে সেরাত পার,
সন্তানে দিলে নরক নার
মায়া দোষে ছেয়ে গেল দোজখ।
কোরবানী দিলি গরু ছাগল
তাদেরই জীবন হ'ল সফল
পেয়েছে তারা বেহেশতলোক।

শুধু আপনারে বাঁচায় যে,
মুসলিম নহে, ভন্ড সে!
ইসলাম বলে - বাঁচ সবাই!
দাও কোরবানি জান্ ও মাল,
বেহেশ্ত তোমার কর হালাল।
স্বার্থপরের বেহেশ্ত নাই।

খেয়ে খেয়ে গোশ্ত রুটি তো খুব
হয়েছ খোদার খাসি বেকুব,
নিজেদের দাও কোরবানি।
বেঁচে যাবে তুমি, বাঁচিবে দ্বীন,
দাস ইসলাম হবে স্বাধীন,
গাহিছে কামাল এই গানই।

যত দিন তোরা নিজেরা মেষ,
ভীরু দুর্বল অধীন দেশ,
- আল্লাহ্র রাহে ততটা দিন
দিও না কপশু কোরবানি,
বিফল হবে রে সবখানি!
(তুই) পশু চেয়ে যেরে অধমহীন!

মনের পশুরে কর জবাই,
পশুরাও বাঁচে - বাঁচে সবাই।
কশাই-এর আবার কোরবানি!
- আমাদের নয়, তাদের ঈদ,
বীর-সুত যারা হল শহীদ,
অমর যাদের বীরবাণী।

শহীদি ঈদ - কাজী নজরুল ইসলাম

রক্তে রঞ্জিত ক্ষত-বিক্ষত

রক্তে রঞ্জিত ক্ষত-বিক্ষত
প্রিয়জনের মুখ আজ যায় না চেনা
জীবন প্রদীপ ঐ নিভিয়ে দিল
গণ ধিকৃত বর্বর হায়না।

ওরা মানবতার চির দুশমন
মানুশরুপি যত পিশাচ খুনি
ওদের দিন যায় রাত যায় ধ্বংস নাশে
প্রলয় নিমজ্জতার প্রহর গুনি
ওরা শত্রু সবুজ এই পতাকার
এই রক্তের দাগ আর মোছা যাবে না।

আজ জসিম, শিপন, রুহুল আমিন
লকলকে তাজা খুন বীর মুজাহিদ
বৈঠা লগির আঘাতে আঘাতে
ছটফট করে ঐ হলো যে শহীদ
তাদের কফিন ছুয়ে করছি শপথ
খুনিরা কভু ক্ষমা পাবে না।

দ্বীনের পথে_চলতে গিয়ে

দ্বীনের পথে_চলতে গিয়ে,
বাধার পাহাড় দলতে হয়।
দুঃখের মাঝেও দিন রজনী
সুখের কথা বলতে হয় ।

সরল পথের পথিক যারা
থামতে কভূ চায়না তারা,
বুকের খুনেই বহুক নদী
তবু দ্বীনের চায় বিজয় ।

পাপের সমাজ ভেঙ্গে যারা
আলোর ভুবন গড়তে চায়
ঘোর আধারের পূজারীরা
টুটি চেপে ধরতে চায়।

বাতিল যত দিকনা হানা
তবু তাদের আছে জানা
দ্বীন কায়েমের পথতো কভূ
ফুলে ফুলে ঢাকা নয় ।

তুমি কত সুন্দর! কি করে বোঝাই

তুমি কত সুন্দর! কি করে বোঝাই !
কোনো ভাষা পাই না খুজে...
তোমার তুলনা তুমি নিজে ।

বেকারার প্রজাপতি গোলাপের মুখে,
কি করে দোলায় পাখা, বুক ভরা সুখে!
কোন সুখে এত সুখী,
বুঝে আসে না যে
তোমার তুলনা তুমি নিজে ।

সাজানো এ পৃথিবীতে এত মায়া লাগে
এত ভালবাসাবাসি, কেন মনে জাগে?
আবার বিরহ ঝড়ে, আখি ভিজে ভিজে
তোমার তুলনা তুমি নিজে ।

গভীর রজনী ভরা আকাশের তারা
কার প্রেমে জেগে জেগে হয় দিশেহারা?
তোমার প্রেমের ভার আর সহে না যে
তোমার তুলনা তুমি নিজে ।

যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয়

যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয়
তারা কভু পথ ভুলে যায় না,
আল্লাহর প্রেম ছাড়া এই দুনিয়ায়
কারো কাছে কোনো কিছু চায় না ।

রাতের আধারে যারা সেজদাতে রয়
দু'চোখের অশ্রুতে নদী যেন ব্‌
ছলনার হাতছানি যতই আসুক
পেছনে ফিরে সে তাকায় না ।

দ্বীন কায়েমের পথে যারা অবিচল
তারা হল আল্লাহর প্রিয়জন,
বাতিলের কাছে যারা হার মানেনা
সংগ্রাম করে যায় আমরণ।

হেরার আলতে যার হৃদয় রঙ্গিন
হাতে আল জিহাদের দৃপ্ত সঙ্গিন,
সত্যের পথে যারা নিবেদিত পরান
শত্রুকে কভু ভয় পায় না ।

কথাঃ বিলাল হোসাইন নূরী
সুরঃ মশিউর রহমান

Those with fear of Allah in heart
Never forget their path
Except love of Allah in this world
they don't want anything from anyone.

Those who prostate in the dark of night
Tears from their eyes flows like a river
Though deceit calls them
They pay them no heed

Those who are devoted to establish the deen
They are loved by Allah
Those who don't accept defeat to wrongdoers
And struggle till death

Whose heart is filled with the light of Hira
Armed with the sword of Quran
Those who are dedicated to the truth
They never fear the enemy

Translation:
Numan Azmi
Naomi Azmi
& Saki Abdul Fattah








আল্লাহর পথে যারা দিয়েছে জীবন

আল্লাহর পথে যারা দিয়েছে জীবন
তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না,
বলো না মৃত।

ওরা আছে চেতনায় আমাদের
ওরা আছে প্রেরনায় আমাদের
ওরা আছে সংগ্রামে সাধনায়...
দুর্বার দুর্গম অপরাজিত।

তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না,
বলো না মৃত।

ওরা আছে অলখে আমাদের
ওরা আছে পলকে আমাদের
ওরা আছে মিছিলে মিছিলে...
চিরদিন চিরচেনা পরিচিত।

তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না,
বলো না মৃত।

ওরা আছে সাহসে আমাদের
ওরা আছে সমুখে আমাদের
ওরা হল শহীদি জীবনের...
সংগ্রামী পতাকা উচ্চকিত।

তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না,
বলো না মৃত।

ঈমানের পথে অবিচল থেকে

ঈমানের পথে অবিচল থেকে
আমার মরণ যেন হয়
তোমার-ই কাছে মিনতি
আমার মহামহিম দয়াময় ।

প্রতিদিন মিথ্যের মুখোমুখি হই
বেদ্বীন ফাসেকেরা করে হই চই,
আযাযীল এসে, গোমরাহী সুর যার-
করে তোলে মোহময় ।

আধারের দুর্গম আঁকাবাঁকা পথ
ভ্রান্তিতে পূর্ণ যত মতামত
কখনো হঠাৎ নফসের তাড়নায়-
লাগে সুন্দর মনোময় ।

প্রতিক্ষণ সত্যের অবিনাশী ডাক
অবিরাম মনটাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাক,
ধুয়ে মুছে দিয়ে পাপ কালিমা-
স্বপ্ন জাগাও মধুময় ।

গীতিকারঃ আবু তাহের বেলাল

প্রশংসা সবই কেবল তোমারি, রাব্বুল আলামিন

প্রশংসা সবই কেবল তোমারি, রাব্বুল আলামিন।
দয়ালু মেহেরবান, করুণা অফুরান
আর কেউ নয় তুমি মালিক,
শেষ বিচারের দিন।

কেবল তোমারি করি ইবাদাত
কেবল তোমারি চাহি নিয়ামাত।
দাও দিশা দাও সরল পথের;
সিরাত মুস্তাকিম।।(ঐ)

যাঁদের উপরে করেছ রহমত
পেয়েছে তোমার অশেষ মহাব্বত।
তাঁদের সে পথ দাও আমাদের
দাওগো তোমার দ্বীন।।(ঐ)

যাদের উপরে কেবলই গজব
নাযিল করেছ দিয়েছ আযাব।
তাদের সে ভাগ্য দিওনা মোদের,
হে অসীম সীমাহীন।।(ঐ)

যাদের হৃদপিন্ড ঝাঁঝরা করেছো কিংবা মস্তক

যাদের হৃদপিন্ড ঝাঁঝরা করেছো কিংবা মস্তক
কেটে দ্বিখন্ডিত করেছো চেয়ে দেখো ,
তারা সবাই নক্ষত্র হয়ে গেছে ।
কাদেরকে পরাজিত করবে ? দেখ, পৃথিবীর
প্রতিটি বিশ্বাসী মানুষের এখন একটিই মাত্র
প্রার্থনা - শহীদ । শহীদ হওয়া ছাড়া তাদের আর
কোনো প্রার্থনা নেই । চেয়ে দেখ , সমুদ্রের
বুকে যে দুর্বিনীত ঢেউয়ের গম্বুজ ওটা ঢেউ
নয় , শহীদের অন্তিম ক্রোধ ।
কাদেরকে পরাজিত করবে ? রক্তের তরংগের
ওপরেও বেঁচে থাকে শহীদের যৌবনদীপ্ত প্রান । শহীদেরা মরেনা কখনো ।
হে আল্লাহ , শাহাদাতের সেই রোমাঞ্চকর মরন
আমাদের দিও যেই মরনের
মাঝে রয়েছে জীবনের খবর ।

(শহীদ রাহাত ভাই স্মরণে)

আল্লাহ তোমার, কাছে আমার এই মোনাজাত

আল্লাহ তোমার, কাছে আমার এই মোনাজাত...
আর না কিছু চাইগো আমি.....
আর না কিছু চাইগো আমি.....
চাই গো নাজাত।

কোরানের সাথে থেকে টুকরো কাপড় যদি,
মর্‍্যাদায় আসীন হয়ে, থাকে নিরবধি...
তেমনি করে আমায় তুমি, দাও গো হায়াত।

সিদ্দিক হয়ে আবু বকর, ছড়িয়েছিলেন আলো
তেমনি করে আমার মনে, তোমার রহম ঢালো।
উমরের মত আমায় দাও, সাহসী সে হাত।

উসমান যেমন ছুটে যেতেন, গরীবের ঘরে ঘরে
তেমনি করে আমায় ফেরাও দুঃখীদের দ্বারে দ্বারে।
আলীর মত বিদ্যা জ্ঞানে, দাও আব হায়াত।

আমার মনের সাধ যা কিছু

আমার মনের সাধ যা কিছু
দোয়ার মত ফুটছে জানি
চেরাগ যেমন তেমনি যেন
হয় খোদা মোর জিন্দেগানী।

সুন্দর হয় আমার বাচায়,
যেন আবার এই জাহান
ফোটা ফুলের শোভায় যেমন
হাসে সোনার গুলিস্তান।

পতংগ হয় যেমন খোদা
তেমনি কর আজ আমারে
ভালোবাসি যেন আমি
মুক্ত জ্ঞানের দীপ শিখারে।

জীবন আমার করে যেন
দুস্থ জনে সমর্থন
দুঃখী এবং বৃদ্ধ জয়ী
যেন আমার হয় আপন।

আল্লাহ মালিক প্রভু আমার
বাচাও পাপের কলুষ থেকে,
চালাও আমায় সেই পথে
লিখন যার শুধু যার পূণ্য লিখে।

বাংলাদেশের মত এমনি আপন, পৃথিবীর নেই যে কোথাও

বাংলাদেশের মত এমনি আপন, পৃথিবীর নেই যে কোথাও
তুলির আঁচড়ে যেন আকা এই দেশ, সবুজ শ্যামলী এক গাও।

এখানে মেঠো পথে- বাউলের একতারা বাজে,
সোনালি ফসলের মৌ সুবাসে- কৃষকেরা ছুটে যায় কাজে।
নদীর বুক জুড়ে চলে- সারি সারি পাল তোলা নাও।

এখানে বাশের বনে- পাখিদের সুরেলা আসর,
গাছেরও ডালে বৈশাখ মাসে- পাখিরা গড়ে যে যে বাসর।
নদীর বুক জুড়ে চলে- সারি সারি পাল তোলা নাও।

যেমন তুমি দিলে জমিন

যেমন তুমি দিলে জমিন,
দিয়েছ আসমান
সুখের সমাজ গড়তে দিলে,
তেমনি কোরআন।
তোমার দয়া অফুরান।

তৃষ্ণা নিবারণে দিলে, স্বচ্ছ স্বাদু পানি
জঠর জ্বালা জুড়াতে আর ফল ও ফসল জানি
পথের দিশায় তেমনি দিলে, রাসূলে আকরাম।
তোমার দয়া অফুরান।

তুমি দিলে চোখের আরাম, শান্ত নদীর বাক
গাছ গাছালির শাখায় শাখায় পাখপাখালির ডাক।

বৃষ্টি ঢেলে জীবন দিলে শুকনো মাটির বুকে
আদর সোহাগ দান করেছ, নানা রঙের দুঃখে।
দান করেছ তেমনি তুমি জ্ঞান আরও বিজ্ঞান।
তোমার দয়া অফুরান।

যদি আমার গান শুনতেই মন চায়

যদি আমার গান শুনতেই মন চায়
কোরআনের সুর তুমি শুনে নিও
যদি আমার গান বুঝতেই মন চায়
মজলুমানের ব্যথা বুঝে নিও।

যেখানে মানবতা লাঞ্ছিত হয়
সেখানেই আমার এ গান,
জালিমের বিরুদ্ধে লড়তে শেখ
গানে গানে সেই আহ্বান।

আমার গানের ভাষা বুঝতে চাও
আযানের সূর তুমি শুনে নিও।

যে গানের সুরে সুরে জাগবে মানুষ
জাগবে ঘুমের পাড়া,
কোরআনের পথ পানে ছুটবে সবাই
পড়বে নতুন সাড়া।

সে গানের সুর তুমি শুনতে যদি চাও
শহীদি মিছিলে তুমি শামিল হয়ো।।

আল কোরানকে ভালোবেসে প্রাণ দিয়েছিল যারা

আল কোরানকে ভালোবেসে প্রাণ দিয়েছিল যারা
আজকে দ্যাখ সামনে এসে রক্ত মাখা শহীদ বেশে
ফের দাঁড়িয়েছে তারা।।

আজকে তাদের প্রশ্ন শুধু যেন
আলকোরানের দ্বীন আসেনা কেন।।
কেন আজও হয়না জয়ী মযলুম সবহারা
রক্ত মাখা শহীদ বেশে ফের দাঁড়িয়েছে তারা।

আজকে তাদের সব দায়িত্ব যদি
মাথায় তুলে চলি নিরোবধি।।
তবেই হবে সফল আজি তাদের স্মরণ করা
রক্ত মাখা শহীদ বেশে ফের দাঁড়িয়েছে তাঁরা।

সবাই এসো তাদের কাছে শিখি
জীবন দেবার জন্য লাগে যে কি।।
খোদার পথে কেমন করে কিভাবে যায় মরা
রক্ত মাখা শহীদ বেশে ফের দাঁড়িয়েছে তারা।

খোদার পথে মরতে শেখে যারা
সকল যুগের সর্বজয়ী তাঁরা।।
তাদের পেয়ে হয়গো ধন্য মানুষ এবং ধরা
রক্ত মাখা শহীদ বেশে ফের দাঁড়িয়েছে তাঁরা।

(১৯৮৫ সালে আল কোরানের অবমাননা বিরোধী মিছিলে শহীদ হওয়া জান্নাতি পাখীদের জন্য)

দেশে বিদ্যুৎ নাই, পানি নাই

দেশে বিদ্যুৎ নাই, পানি নাই,
মশার কামড়ে মরি হায় হায়;
তার উপরে ট্রানজিট, আগ্রাসী ইংগিত,
দেশ বিকানোর খেল শুরু হল ভাই।।
হায় হায় হায়, দ্যাখরে সবাই
বাংলার সীমানা মুছে দিতে চায়।।

আমার দেশের উৎপাদন নাই, আয় উন্নতি নাই,
একেক করে মিল-ফ্যাক্টরি বন্ধ হইয়া যায়।
বাজাজ-টাটার মোটর গাড়ি, ভারতীয় লুঙ্গি-শাড়ি,
স্বাধীনভাবে সারা দেশে হইয়াছে বোঝাই।।
হায় হায় হায়, দ্যাখরে সবাই
বাংলার সীমানা মুছে দিতে চায়।।


কয়লা ধুলেও যায়না ময়লা, জানেন তো সবাই
পিতল কি হয় খাঁটি সোনা, বলুন দেখি ভাই।
আবেদন নিবেদন করে, পার পেতে চায় ছ্যাঁচড়া চোরে
আরেকটি বার ক্ষমা চেয়ে বারোটা বাজায়।
হায় হায় হায়, দ্যাখরে সবাই
বাংলার সীমানা মুছে দিতে চায়।।

ভোর হয়নি, আজ হলো না

ভোর হয়নি, আজ হলো না,
কাল হবে কি না, তাও জানা নেই।
পরশু ভোর ঠিক আসবেই,
এ আশাবাদ তুমি ভুলো না ।

এ সময়ের মুখ চেনা থাক,
আজ এখানে এতো পরাজয়
দ্বিধা সংশয়ে কাটে দিন রাত,
ঘিরে রেখেছে অমূলকভয়।
তুমি চাইলে, বাঁধা টুটবে
পথে নামলে সাথী মিলবেই
শুধু কখনো ভুল প্ররোভনে প্রতারক
পায়ে ফিরে যেও না।

মনে করো সেই মহা ইতিহাস
যারা চিনেছিল কালো রাত্রি
বুকে সাহসে দাউ দাউ শিখা
নিয়ে হেটে গেছে আলোর যাত্রী।
এই পৃথিবী অবাক তাকিয়ে
মমতার বাহু দিলো বাড়িয়ে।
লেখা হলো না স্বর্ণাক্ষরে,
ওরা মানবিক জীবন উপমা।

কোনো এক মা’কে

“কুমড়ো ফুলে ফুলে
নুয়ে পড়েছে লতাটা,
সজনে ডাঁটায়
ভরে গেছে গাছটা,
আর, আমি ডালের বড়ি
শুকিয়ে রেখেছি-
খোকা তুই কবে আসবি!
কবে ছুটি?”

চিঠিটা তার পকেটে ছিল,
ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা।

“মাগো, ওরা বলে,
সবার কথা কেড়ে নেবে
তোমার কোলে শুয়ে
গল্প শুনতে দেবে না।
বলো, বা মা তাই কি হয়?
তাইতো আমার দেরি হচ্ছে।
তোমার জন্য কথার ঝুড়ি নিয়ে
তবেই না বাড়ি ফিরবো।
লক্ষ্মী মা রাগ ক’রো না,
মাত্রতো আর কটা দিন।”

“পাগল ছেলে”
মা পড়ে আর হাসে,
“তোর ওপরে রাগ করতে পারি!”
নারকেলের চিঁড়ে কোটে,
উড়কি ধানের মুড়কি ভাজে
এটা সেটা আরো কত কী!
তার খোকা যে বাড়ি ফিরবে!
ক্লান্ত খোকা!

কুমড়ো ফুল
শুকিয়ে গেছে
ঝ’রে পড়েছে ডাঁটা
পুঁইলতাটা নেতানো,
“খোকা এলি?”-
ঝাপসা চোখে মা তাকায়
উঠোনে, উঠোনে
যেখানে খোকার শব
শকুনিরা ব্যবচ্ছেদ করে।

এখন,
মা’র চোখে চৈত্রের রোদ
পুড়িয়ে দেয় শকুনিদের।
তারপর,
দাওয়ায় ব’সে
মা আবার ধান ভানে,
বিন্নি ধানের খই ভাজে
খোকা তার
কখন আসে! কখন আসে!
এখন,
মার চোখে শিশির ভোর,
স্নেহের রোদে।
ভিটে ভরেছে।

মারহাবা করতালি কিছু চাইনা

মারহাবা করতালি কিছু চাইনা,
আমি চাই শিশুদের পড়ালেখা বিনে জীবন যেন কাটেনা,
আমি চাই দুঃখীদের খাদ্য বসন বিনে জীবন যেন কাটেনা।

আমার মত হাজার শিশু
পেটের দায়ে কাজের পিছু
ছুটছে অবিরাম, নেই কোন বিশ্রাম
দেখেও তা কেউ দ্যাখেনা (ঐ)

আদর করে আশার বাণী
কেউ শুনায়না একটু খানি।
চোখের কান্নায় বুক ভেসে যায়
দেখেও তা কেউ দ্যাখেনা (ঐ)

জিহাদের ডাক এসেছে চল, চলরে বীর

জিহাদের ডাক এসেছে চল, চলরে বীর,
জিহাদের ডাক এসেছে চল।
যেখানে শ্যামল ছায়ার নেই কোন আশ্রয়,
সেখানে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোয় বেরুক,
তবু মোরা শমশের হাতে চলব ছুটে থাকব অটল।।

জীবনের কল্পনাতে মেখে নাও রক্তেরই রঙ,
আহত স্বপ্ন দেখাই আমাদের নয়ত জীবন।
প্রতিবাদ প্রতিরোধের দুর্গ গড় ক্ষিপ্ত শ্লোগানের উত্তাল (ঐ)

দামামা, শুনি দামামা, কেন আঁধার তিমির কাটেনা
চল কদমে কদমে এগিয়ে সামনে আবেগে হৃদয় ভরেনা।।

শপথের হাতটি তোল মমতার বাঁধন খুলে,
নয়নের জলে রাখো জিহাদের শিখা জেলে।
দুর্জয় দুর্গম পথ মাড়িয়ে চল জাগো হাজার বীর সেনা দল (ঐ)

কথা ও সুরঃ লিটন হাফিজ

কোন সাহসে চাও নেভাতে অগ্নিগিরি বলো

কোন সাহসে চাও নেভাতে অগ্নিগিরি বলো,
চোখ রাঙ্গিয়ে যায় কি রোখা জোয়ার টলোমলো!

বৈশাখী ঝড় পাগল পারা বাধন হারা
ভ্রূক্ষেপহীন আগল ভাঙ্গা রুদ্র রাঙ্গা ।
চলার ধাঁধায় বাঁধায় বাঁধায়
তারপরে সে ঝঞ্ঝা হলো ।

মৃত্যুকে যে কঠিন হৃদয় করল বিজয়
অমর হবার হাতছানি পায়, হাতছানি দেয় !
তারে আবার ভয় দেখাবার
সুযোগ কোথায় তুমি বলো ।

বেরিয়েছে যে কাফেলা

বেরিয়েছে যে কাফেলা
ফিরবেনা সে কোন দিন
হয় তো বিজয় হবে
নয়তো তার ফিরবে কফিন।

রাতের ঐ নিরবতা ভেঙ্গে
নিয়ে শাহাদাতের তামান্না,
কন্টকময় পথ পাড়ি দেবে
ঝরাবেনা হৃদয়ের কান্না।।

শত বাধা ভয় মাড়িয়ে দিয়ে
বিজয়ের আনবে সুদিন(ঐ)

দুর্গম গিড়ি পথ পেরিয়ে যাবে
জ্বালিয়ে দিয়ে ঈমানের নূর,
কন্ঠে তার ঝরবে দিবা নিশি
সুমধুর আল কোরানের সুর।।

ব্যাস্ত সে থাকবে সারাটি ক্ষন
বিজয়ী করতে মিশন(ঐ)

আমি আর নেই এই মিছিলে

আমি আর নেই এই মিছিলে
ভাবতেই বন্ধু বুক ভেঙ্গে যায়
বুক ভেঙ্গে যায়, প্রাণ ভেঙ্গে যায়
জীবনের সকল - সুখ ভেঙ্গে যায়

ঈমানের এ মিছিলে আসবো আবার
জেহাদের এ জোয়ারে ভাসবো আবার
এখানে যে প্রীতি ছিল
সোনা সোনা স্মৃতি ছিল
এখানে যে প্রীতি ছিল
সোনা সোনা স্মৃতি ছিল
আমার যে শেষ স্মৃতি টুক ভেঙ্গে যায়
বুক ভেঙ্গে যায়, প্রাণ ভেঙ্গে যায়
জীবনের সকল - সুখ ভেঙ্গে যায়

মনে রেখো এ মিছিলে আমিও ছিলাম
ছিলাম যে তোমাদেরই, কাছে কাছে
তাঁর কথা ভুলে গেছো, আজ সকলে
তোমাদের কথা তবু, মনে আছে

একা একা পড়ে রবো ধুধু আঁধারে
আর কেউ খুজবেনা কভু আমারে
এখানে যে প্রীতি ছিল
সুখ ছিল স্মৃতি ছিল
এখানে যে প্রীতি ছিল
সুখ ছিল স্মৃতি ছিল
আমার যে সেই স্মৃতি, টুক ভেঙ্গে যায়
বুক ভেঙ্গে যায়, প্রাণ ভেঙ্গে যায়
জীবনের সকল - সুখ ভেঙ্গে যায়

আমি আর নেই এই মিছিলে
ভাবতেই বন্ধু বুক ভেঙ্গে যায়
বুক ভেঙ্গে যায়, প্রাণ ভেঙ্গে যায়
জীবনের সকল - সুখ ভেঙ্গে যায়
আমার যে সেই স্মৃতি, টুক ভেঙ্গে যায়
জীবনের সকল – সুখ ভেঙ্গে যায়

কতদিন দেহিনা মায়ের মুখ

কতদিন দেহিনা মায়ের মুখ
হুনিনা সেই কোকিল নামের কালা পাহির গান
হায়রে পরান, হায়রে পরান।।

হায়রে আমার গাঁয়ের বাড়ি
সারি সারি গরুর গাড়ি
মরা নদীর চর।
দীঘির জলে হাসের খেলা
ঘরের চালে দুপুর বেলা
রঙ্গিলা কইতর।।
উঠানে চরাইনা সোনার ধান
হায়রে পরান, হায়রে পরান ।

কতদিন ধরিনা ডোবায় মাছ
করিনা সেই মরা নদীর মিঠা পানি পান
হায়রে পরান, হায়রে পরান ।

হায়রে আমার রখাল হিয়া
কাজলা গরুর গোসল দিয়া
মাঠে নিয়া যায়।
বিহাল বেলা বাঁশের বনে
ঝিকিমিকি রইদের সনে
মন মিলাইতে চায়।।
ভুলিতে পারেনা মাটির টান
হায়রে পরান, হায়রে পরান।

কতদিন রাহিনা চানের খোজ
দেহিনা সেই তারার চোখে মিছা অভিমান
হায়রে পরান, হায়রে পরান।
হায়রে পরান, হায়রে পরান।

হায়রে পরান, হায়রে পরান।
হায়রে পরান, হায়রে পরান।।

আম্মা বলেন ঘর ছেড়ে তুই যাসনে ছেলে আর

আম্মা বলেন ঘর ছেড়ে তুই যাসনে ছেলে আর
আমি বলি খোদার পথেই হোক এ জীবন পার।

নিজের জন্যে করলিনা তুই কিছু
আল্লাহ্‌ জানেন ঘুরিস কাদের পিছু!
কিযে করিস কথায় থাকিস বুঝিনে কারবার,
আমি বলি খোদার পথেই হোক এ জীবন পার।

যে পথ ধরে চলতে বলেন আল্লাহ্‌ কাদের গনী
আপনি কি মা নিষেধ করেন বলুন না আজ শুনি!?

আল কোরানের আহ্বানেও মা ঘর ছেড়ে কি বাহির হবনা?!
চোখ মুছে মা চুপ করে যান ফুরায় কথা তাঁর
একটু পরে কেঁদে বলেন হে খোদা নাও ভার।

সামাল সামাল সামাল হে সামাল সামাল সামাল

সামাল সামাল সামাল হে সামাল সামাল সামাল
সামাল সামাল সামাল হে সামাল সামাল সামাল

সামাল সামাল আসছে ওরে দামাল ছেলের দল
বজ্র নিনাদ হুংকারে বাজে বিজয় দমকারে
রুখতে পারে এমন কে রে যৌবনেরই ঢল
সামাল সামাল আসছে ওরে দামাল ছেলের দল

স্বপ্ন যাদের স্বর্ণ যুগের সমাজ রাশেদার
মায়ের সোহাগ আদর তারে বাঁধতে পারে আর ???
তাদের বইছে শিরায় হামজা আলীর রক্ত কলকল
বইছে শিরায় হামজা আলীর রক্ত কলকল

মনের বীণায় আর বাজে না নেই যে প্রাণের তার
কুটিল থাবায় গান থেমেছে মৃত্যু হাহাকার
আজ আঘাত হেনে জীবন বীণায় ছন্দ বাধি চল
আঘাত হেনে জীবন বীণায় ছন্দ বাধি চল

মুখের জরায় জীবন তরী ধুঁকছে বারে বার
ঘরের কোণে মুখ লুকিয়ে রইবি কত আর
আজ প্রানের গাঙে বান ডেকেছে পাল উড়াবি চল
প্রানের গাঙে বান ডেকেছে পাল উড়াবি চল

শত শত মালেক ঐ আসছে

শত শত মালেক ঐ আসছে
শত শত সাব্বির হাসছে
শত শত শহীদের বিপ্লবী সাথীরা
নতুন এক স্বপ্নে ভাসছে
দৃপ্ত পদভারে হাঁটছে।

চোখে-মুখে জিহাদের উল্লাস
বুকে বুকে শপথের উচ্ছাস
বাজী রেখে জীবনের মূল্য
হাতে হাত কাঁধে কাঁধ
হাতে হাত কাঁধে কাঁধ রাখছে

শত শত শহীদের বিপ্লবী সাথীরা
নতুন এক স্বপ্নে ভাসছে
দৃপ্ত পদভারে হাঁটছে

যারা শুধু ভালবাসে
কোরানের বিপ্লবী কাজকে
তারা দেখো ধীরে ধীরে
মিলনের মোহনায় আজকে
প্রাণে প্রাণে সাহসের সম্ভার
পিষে চলে বাঁধা, ভয়, ঝঞ্ঝাট
আলোকিত পৃথিবীর জন্য আঁধারের বুনিয়াদ
আঁধারের বুনিয়াদ ভাঙছে

শত শত শহীদের বিপ্লবী সাথীরা
নতুন এক স্বপ্নে ভাসছে
দৃপ্ত পদভারে হাঁটছে
শত শত মালেক ঐ আসছে...........................

আমি অপার হয়ে বসে আছি

আমি অপার হয়ে বসে আছি
ওহে দয়াময়।।
পারে লয়ে যাও আমায়।।

আমি একা রইলাম ঘাটে,
ভানু সে বসিল পাটে
আমি তোমা বিনা ঘোর সংকটে
না দেখি উপায়।।

নাইকো আমার ভজন সাধন,
চিরদিন কুপথে গমন,
আমি নাম শুনেছি পতিত-পাবন
তাইতে দোহাই দেই তোমায়।।

অগতির না দিলে গতি,
ওই নামে রবে অখ্যাতি,
লালন কয় অকূলের পতি,
কে বলবে তোমায়।।

এত শহীদ রক্ত ঢালে

এত শহীদ রক্ত ঢালে
তবু কেন তোমার বিবেক কথা বলে না?
এত চোখের অশ্রু ঝরে
তবু কেন তোমার পাষাণ হৃদয় গলে না?

এত জুলুম চতুর্দিকে
থাবা ফেলে প্রতিদিন
মজলুমানের লগ্ন ফুরায়
শোক বিহবল স্বপ্নহীন
এই আশায় কালবেলাতে
তবু কেন তোমার ঈমান
দ্বিগুন জ্বলে না?

কোন ভয়ানক ঘুমের ঘোরে
তোমার সময় কাটছে আজ
অথচ হায় হাজার দুশমন
আঙ্গিনাতে হাটছে আজ

শান্তিপ্রিয় মানুষ যখন
স্বস্তিহারা শংকাকুল
তখনো কি দৃষ্টি তোমার
অন্ধকারে বদ্ধমুল?
তখনো কি আলোর দিকে
দুঃসাহসে তোমার দীপ্ত
কদম চলে না?

আমাদের কথা গুলোকে এমনি করে বহুদিন

আমাদের কথা গুলোকে এমনি করে বহুদিন
মুছে দিতে ওরা কেউ পারেনি।
সত্যের কথা মোরা বলেই যাবো
বাধার পাহাড় যত মাড়িয়ে...

মিছিলে মিছিলে প্রতিবাদ প্রতিরোধ
চালিয়ে যাবোই আনিবার
মানিনি মানিনি মানবো না কোনোদিন
স্বৈরাচারীরঅবিচার ।
এইতোসেদিন কলিজার খুনে রঞ্জিত হল কাফেলা।

গ্রেনেডের আঘাতে উড়ে গেল
কত প্রান কত চোখ কত স্বপ্ন,
বুলুটের আঘাতে চলে গেল
কত মন কতপ্রান কত রত্ন।

কোরানের কথা মরা চৌদিকে দশদিকে বলছি
আরো বলব বাতিলের সাথে সংঘর্ষ রাজপথে
করছি আরো করব।
এইজমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম হবে না যত দিন।

জাগো জাগো সব মুজাহিদ দল

জাগো জাগো সব মুজাহিদ দল,
কোথায় তোদের ঈমানের বল?
দেখ চেয়ে দেখ, মুমিন ভাইয়েরা,
পড়ছে মারা,নেই কি তাড়া?
মায়েরা বোনেরা,অবোধ শিশুরা,
অত্যাচারিত, ইজ্জত হারা।
আর কত কাল,চলবে আকাল,
গর্জে উঠ তরুণ দামাল।

ইসলাম নিয়ে ব্যাঙ্গ চলে,ষড়যন্ত্র তলে তলে,
নবীর মান,হয় অপমান,পরাজিত মোরা কূটচালে?
কোরান বলে মুমিন সকলে এক দেহ এক প্রাণ,
সিরিয়া মালি ফিলিস্তিনে চলছে দেখ তুফান।
ওহে সেক্যুলার ,তোকে ধিক্কার,নেই ভালোবাসা দ্বীনের তরে,
সব উম্মাহ এক কাতারে, তুই কেন আজ পালিয়ে দূরে?
ওদের আছে ড্রোন ট্যাংক,বিমান শত শত,
কঠিন হবে বিপদ যত , ঈমান বাড়ে তত।
হলে শাহাদাহ ,নেই সংকোচ , আল্লাহ সন্তুষ্ট,
যারা ভয় পেয়ে ,যাবে পিছিয়ে,তারাই পথভ্রষ্ট।

অস্ত্র-শস্ত্রে বলীয়ান তারা,দেখ বুকটা চিড়ে,
দূর্গ মাঝে কাঁপছে ভয়ে,ভীতু বড় অন্তরে।
দাঁড়াও রুখে বর্ম বুকে চল ছুটে চল ঈমান ডাকে,
তোরাই কেউ উমার-খালিদ যাবি ই হয়ে জিহাদের মাঠে।
রক্ত দেব,জীবন দেব,ফিরবনা খালি হাতে,
আসবে শরীয়াহ অচিরেই তবে মোদের শাহাদাতে।

রাসুল আমার ভালবাসা

রাসুল আমার ভালবাসা ..
রাসুল আমার আলো আশা ..
রাসুল আমার প্রেম বিরহের মুল আলোচনা
রাসুল আমার কাজে কর্মে অনুপ্রেরণা।।

যখন দারুন দুঃখ নামে আমার জীবন জুড়ে,
বিপদ-আপদ মসীবতে মরি পুড়ে-পুড়ে..
তখন তোমার, শৈশব-কৈশর জুড়ায় যন্ত্রণা।
রাসুল আমার কাজে কর্মে অনুপ্রেরণা।।

রাসুল আমার ভালবাসা ..
রাসুল আমার আলো আশা ..
রাসুল আমার প্রেম বিরহের মুল আলোচনা
রাসুল আমার কাজে কর্মে অনুপ্রেরণা।।

আশাহত জীবন যখন দূর্বিষহ লাগে,
ব্যর্থ এবং পরাজিত স্মৃতি গুলো জাগে,
তখন তোমার বদর-ওহুদ যুগায় সান্তনা...
রাসূল আমার কাজে-কর্মে অনুপ্রেরণা।।

রাসুল আমার ভালবাসা ..
রাসুল আমার আলো আশা ..
রাসুল আমার প্রেম বিরহের মুল আলোচনা
রাসুল আমার কাজে কর্মে অনুপ্রেরণা।।

আমি কারাগার থেকে বলছি

আমি কোর'আনের কর্মী আছি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে
আমি কারাগার থেকে গানে গানে কথা বলছি সবার তরে
আমি ভাল আছি বেশ ভাল নেই দুঃখ বেদনা কোন
শুধু দোয়া চাই সবে দোয়া কর যারা তোমরা আমাকে চেন

আমি সত্য পথের পথিক বন্ধু শধু এই দোষ বলে
আজ বহুদিন মাস কারাগারে আছি বাতিলের রোষানলে
তবু দুঃখ করিনা আল্লাহ সহায় নেই নেই কোন ভয়
আমি বিশ্বাস করি মিথ্যাচারের হবে হবে পরাজয়

আমি মেঘনায় থাকি দিন খাতা এক আছি আছি বেশ ভাল
শুধু বহুদিন ধরে দেখেনা দুচোখ বাহিরের কোন আলো
আমি রাজপথ ছেড়ে আছি বহুদূরে সাথীদের নেই খোজ
তাই ব্যাথার স্মৃতির আশায় আশায় কেটে যায় দিন রোজ

বুঝি দেখেনি দুচোখ বহুদিন ধরে দুঃখিনি মায়ের মুখ
আর বাবার স্নেহের কথা মনে করে কেদে কেদে উঠে বুক
আমি মাঝে মাঝে দেখি গ্রীলের ওপাশে দাঁড়িয়ে কাদছে মা
তার কাদা কাদা মুখ দেখে যায় শুধু কিছু বলতে যে পারিনা

আমি পরক্ষনে নিজেকে চিনি ভূলে যায় সব কথা
আর মাকে বলি মা ভাল থেকো এই বলে করি শেষ কথা
আমি মমতার সব হাতছানি ভূলে তাহাদের কথা ভাবি
যারা দ্বীনের তরে নির্যাতনে আর নীপীড়ন সয় জানি

যারা দ্বীনের আলোয় আলোকিত চাই দেখতে এই জমীন
আর পাজরের রাংগা খুন ঢেলে দিয়ে পরিশোধ করে ঋন
আমি তাহাদের চেয়ে অনেক তুচ্ছ অনেক স্বার্থপর
তাই তাহাদের মত পারিনিক হতে পড়ে আছি কারাগার

আমি পারিনিক হতে মালেকের মত সেই সৌভাগ্যবান
যিনি দ্বীনের তরে নিজের জীবন করে গেছে কোরবান

ছুটে চল চল ছুটে সম্মুখে

ছুটে চল চল ছুটে সম্মুখে,
করতে কি পারে বলো বন্দুকে?
খালিদের মত আজ হাঁক বীর
নারায়ে তাকবীর।
ভুলে যাবে পিছু টান ভুলে যাবে ভয় ডর,
হাক জোরে আরো জোরে আল্লাহু আকবার।
পথ ভুলা পথিকে ঠিক পথে ডাক বীর
আর শুধু খালিদের মত আজ হাঁক বীর
নারায়ে তাকবীর।
নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার।
এই হাতে কাঁপে মাটি সমুদ্র থর থর।
সমশের হাতে নিয়ে ছুটবার দিন আজ
শাহাদাতে শোধ হবে জন্মের ঋণ আজ ।
রক্তেই পৃথিবীর পাপ ধুয়ে যাক বীর
খালিদের মত আজ প্রাণ পনে হাঁক বীর
নারায়ে তাকবীর।

কথাঃ সায়ীদ আবু বকর
সুরঃ সুরঃ প্রত্যয় শিল্পীগোষ্ঠী, রাজশাহী
অ্যালবামঃ হৃদয়ের স্বরলিপি

আছি জেলখানায় আছি বড় অসহায়

আছি জেলখানায় আছি বড় অসহায়
দিন যায় ফাইল ফাইলে রাইতে মশা খায়

একটা রুটি দেয় যে মাগো সকাল বেলা হলে
নিরামিষ খেয়েই মাগো দুপুররাত্রি চলে
তাই তো সবাই টাকা দিয়ে পিসির খাবার খাই।

রাইতের বেলায় ঘুমাই মোরা ইলিশ ফাইল মেরে
বেশি মানুষ হইলে পরে কেচকি ফাইল মারে
সাহেব ফাইল কেষ্ট ফাইল কত ফাইল হায় ।

গোসল করতে গিয়ে মোদের যুদ্ধ করতে হয়
বালতিওয়ালা কয়েদিরা নানান কথা কয়
অনেক কষ্ট করেও মাগো পানি নাহি পাই।

হাউজপাড়ের সিরিয়ালটা লম্বা যত হয়
বোতল আছে যতগুলো মানুষ ততো নাই
সিরিয়ালের পানি পেতে বিকেল হয়ে যায় ।

কথা: নাজমুল হক
সুর: মিরাদুল মুনীম

চল চল ঢাকা চল (মার্চ ফর ডেমোক্রেসি)

চল চল ঢাকা চল / তোল তোল স্লোগান তোল
জাগো জাগো জাগো দেশোবাসী
দেশ বাঁচাতে জাগতে হবে / স্বৈরাচারী রুখতে হবে
ডাক এলো (এবার) মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ।।

শোসনের শৃঙ্খল ভেঙ্গে ফেলো
গড়ে তোল দৃঢ় প্রতিরোধ
স্বৈরাচারের সব আগল ভেঙ্গে
মুক্ত কর জনপদ
চারিদিকে নিপীড়ন জুলুম যত
শাসকের খড়গে নিষ্পেষিত
নির্যাতিত এসো পাশাপাশি ।।

গণতন্ত্রের নামে চলছে দেখো
স্বৈরাচারের নিপীড়ন
ক্ষমতা লোভী আর লুটেরাদের
রুখে দাড়াও জনগন
নির্বিচারে যারা চালায় গুলি
মানুষের রক্তে খেলছে হুলি
রুখতে তাদের জাগো দেশবাসী ।।

বিচারের নামে আজ এ-কী প্রহসন
চলছে দেখ হায় হায়
ন্যায়
নীতি যুক্তি মানে না কিছু
পিশাচেরা বর্বরতায়
দেশপ্রেমী জনতার গলায় ফাঁসি
হায়নার চোখে মুখে অট্টহাসি
রুখতে তাদের জাগতে হবে
জাগো বীর বিশ্বাসী ।।

আজীবন সাধনা শহীদি মরণ

শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা ভাইকে নিয়ে লেখা
কথা ও সুরঃ মতিউর রহমান খালেদ

আজীবন সাধনা শহীদি মরণ
শহীদি মরণ মূমিনের
সেই সে মরণ পেয়ে ধন্য হয়েছো তুমি
প্রিয় ওগো/ভাই মোল্লা কাদের ।।

ফাঁসির রশিকে তুমি করনি তো ভয়
আমরন সংগ্রামে ছিলে দুর্জয়
উন্নত শীর কভু করনি নত
ভয়ে ভীত হয়ে জালিমের ।।

সাইয়েদ কুতুব আর হাসানুল বান্না
শহীদ মালেকেরা এ পথের প্রেরণা
মহান প্রভুর সেই অমিয় বানী
শহীদেরা কোনদিন মরেনা

হাসি মাখা ঐ মুখে ফেরদৌসি আভা
জান্নাতি ফুল হয়ে ছড়ালে শোভা।
শাহাদাত বাসনায় ছিলো তোমারই
চোখে ছিলো নুর ঈমানের ।।

Saturday 28 December 2013

আজ খুব পড়ছে মনে মাকে

আজ খুব পড়ছে মনে মাকে মায়ার বাঁধনে বেঁধেছে আমাকে
স্নেহের ছায়ায় আমায় রেখে যে মা রোদ সয়েছে।

দুঃখ শোকে সবাই যখন আমায় দুরে ঠেলেছে
মায় তো এসে তখন আমার হাত দুটি ধরেছে
ভালোবাসার চুমু এঁকে সান্ত্বনা দিয়েছে।

মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রথম ডেকেছিলাম মাকে
ভালোবাসার মালা গেঁথে পরিয়ে ছিলাম তাঁকে
তার বিদায়ে জীবন ধূসর মরুভূমি হয়েছে।

আমার দুখ দেখে যে মা আঁচলে মুখ ঢাকে
সেই মা আমায় একাকী ফেলে স্বর্গে কিভাবে থাকে
জানি সেথায় মা যে আমার পথ পানে চেয়ে আছে।

তুমি যদি কভু দেখা দাও হে অনন্য

তুমি যদি কভু দেখা দাও হে অনন্য
তবে হবেই হবে জীবন আমার ওগো ধন্য

কাটাতে পারি আমি লক্ষ কোটি বছর
দুঃখের ঝর্ণা ধারা এ নয়নে অঝর
দাও যদি দেখা সামান্য
তবে হবেই হবে জীবন আমার ওগো ধন্য

তুমি যদি কভু দেখা হে অনন্য
তবে হবেই হবে জীবন আমার ওগো ধন্য

অনন্ত কাল আমি থাকতে পারি বসে
বল যদি দেখা দিবে স্বপ্নে কভু এসে
হোক না সে মরু অরন্য
তবে হবেই হবে জীবন আমার ওগো ধন্য

তুমি যদি কভু দেখা দাও হে অনন্য..
তবে হবেই হবে জীবন আমার ওগো ধন্য ।।

শুধু মা নেই, শুধু মা নেই

এই সেই ঘর
এই সেই খাট
বিছানার পাশে আছে পানের বাটা
চশমাটা পড়ে আছে পাশেই
শুধু মা নেই, শুধু মা নেই।

দরজাটা খুলতেই খেয়ে যাই ধোঁকা
মা বুঝি বলছেই এলি নাকি খোকা
বুকের ভেতরটা নড়ে চড়ে ওঠে
চোখ বেয়ে জল নেমে আসে
শুধু মা নেই, শুধু মা নেই।

জানি ফিরে পাব না হারানো তিথি
মা শুধু আজ তাই ফ্রেমে বাধা স্মৃতি
মায়ের ছবি ওই ফ্রেমে বাঁধানো
আমার দিকেই চেয়ে আছে
শুধু মা নেই, শুধু মা নেই

এই সেই ঘর
এই সেই খাট
বিছানার পাশে আছে পানের বাটা
চশমাটা পড়ে আছে পাশেই
শুধু মা নেই, শুধু মা নেই।

দাও খোদা দাও আমায় আবার উমর দারাজ দিল

দাও খোদা দাও আমায় আবার
উমর দারাজ দিল
দাও আলীর মত বীর সেনানী
জাগাতে এই নিখিল

হামজাকে দাও ঘরে ঘরে
জীবন দিতে অকাতরে
আমার কা’বা ভাংতে এলে পাঠাও আবাবিল।
দাও খোদা দাও আমায় আবার
উমর দারাজ দিল

সাচ্চা ঈমান দিয়ে পাঠাও শত সাহাবা
তাদের দেখে বিশ্ব আবার বলুক মারহাবা।
আবার পাঠাও আবু বকর
ফেতনা ফ্যাসাদ আসুক সমর
অনড় অটল পাহাড়সম দাও সেই মনের মিল।

দাও খোদা দাও আমায় আবার
উমর দারাজ দিল

আমি চোখ বুজে দেখি আমারি লাশ

আমি চোখ বুজে দেখি আমারি লাশ
কাফন হয়েছে সারা
সেই লাশ থেকে ভাসে আতরের ঘ্রাণ
কাদিঁছে আপন যারা

সবাই দাড়ানো জানাযা নামাজে
কিছু পরে সব ফিরে যাবে কাজে
কেমনে একাকি কাটাবো কবরে
আমি যে হলেম সাথীহারা

আমি চোখ বুজে দেখি আমারই লাশ
কাফন হয়েছে সারা

আমিতো মনের ভুলেও কখনো
করিনি নামাজ রোজা
এখন একাকী সইতে হবে
সকল পাপের বোঝা

মাথার উপরে সূর্য আসিন
পায়ের নিচেই তামার জমিন
ঐ দোযখের আগুন জ্বলিছে
আসিছে ফেরেশতারা

আমি চোখ বুজে দেখি আমারই লাশ
কাফন হয়েছে সারা
সেই লাশ থেকে ভাসে আতরের ঘ্রাণ
কাদিঁছে আপন যারা

আমি কোরানের সুর মাঝে শুনেছি যে নাম

আমি কোরানের সুর মাঝে শুনেছি যে নাম
আজানের সুর মাঝেও শুনেছি সে নাম।
ও নাম শুনেছি আমি, আমার হৃদয়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়।

ও নামে এত জাদু, এত মধুময়
ও নাম নিয়েই ফুল সুরভী ছড়ায়,
ও নামের সুর তুলে শুধু আমি চাই
হে রাসুল, নবীজি তোমায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়।

আরশের বুকে লেখা ও মধুর নাম
তামাম মানবকুল জানায় সালাম,
ব্যাথিত মানবতা খুজেঁ ফেরে হায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়।

আমি কোরানের সুর মাঝে শুনেছি যে নাম
আজানের সুর মাঝেও শুনেছি সে নাম।
ও নাম শুনেছি আমি, আমার হৃদয়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়
হে রাসুল, নবীজি তোমায়।

যারা আল্লাহর পথে চলে, আল্লাহর কথা বলে

যারা আল্লাহর পথে চলে,আল্লাহর কথা বলে
আল্লাহকে ভালবেসে সঁপেছে জীবন।
তাদের কিসের ভয় কে করে পরাজয়
শহিদী তামান্নাতে নাচে তার মন।

হাসনাহেনার গানে ভুলেনা হৃদয় তার
কালেমার মেশক মাখা হৃদয় রয়েছে যার
সব পিছুটান ভুলে জিহাদের পথে চলে
সেতো তার ঈমান বলে।

লালসার কাছে কভু হয়না সে পরাজয়,
জীবন বিলিয়ে সেতো জান্নাত করে ক্রয়
মৃত্যুর মুখোমুখি দাড়িয়েও যারা সুখী
এসো আজ তাদের দলে

যারা আল্লাহর পথে চলে,আল্লাহর কথা বলে
আল্লাহকে ভাভালবেসে সঁপেছে জীবন।
তাদের কিসের ভয় কে করে পরাজয়
শহিদী তামান্নাতে নাচে তার মন।

মা যে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধরিয়া

মা যে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধরিয়া,করেছেন আমাদের ঋণী
গায়ের চামড়া কাটিয়া দিলেও সেই ঋণ শোধ হবেনা জানি, মা
সেই সেই ঋণ শোধ হবেনা জানি।

কতদিন দেখিনা মায়ের ঐ চাঁদমুখ,কষ্টে হৃদয় পুড়ে
পিঠা পুলি বানাইয়া পায়েসও রান্ধিয়া মা প্রতীক্ষা করে।
হাজারো বাস্ততা অবসর পাই কোথা
তাইতো হয়না যাওয়া গায়ের বাড়িতে
মা যে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধরিয়া,করেছেন আমাদের ঋণী
গায়ের চামড়া কাটিয়া দিলেও সেই ঋণ শোধ হবেনা জানি, মা
সেই সেই ঋণ শোধ হবেনা জানি।

চিঠি লিখে ছোটবোন টেলিফোন করে,অসুখটা যাচ্ছে মায়ের বেড়ে।
ভীষণ জ্বরের ঘোরে মা কাইন্দা বলে,ভুইলা কি গেছিস মোরে।
মা যে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধরিয়া,করেছেন আমাদের ঋণী
গায়ের চামড়া কাটিয়া দিলেও সেই ঋণ শোধ হবেনা জানি, মা
সেই সেই ঋণ শোধ হবেনা জানি।

হঠাৎও একদিন রাত দুপুরে,একটা খবর এল
সবকিছুই আছে আগেরই মত,মা হারিয়ে গেল
এখন আর পথ চাইয়া থাকে না কেও বসিয়া
তাইতো কষ্টে হৃদয় ঘুমরে মরে।
মা গো দুঃখিনী মা।।

কথায় কাজে মিল দাও আমার রাব্বুল আলামিন

কথায় কাজে মিল দাও আমার রাব্বুল আলামিন
আল জিহাদ ফি সাবিলিল্ললায়
রাখো বিরামহীন।।

মুনাফেকি যা আছে এই জীবন থেকে মোর
দূর করতে দাও দৃঢ় ঈমান তপ্ত আঁখি লোর
চরিত্র দাও বলিষ্ঠতার আমলে ছালেহীন।।

আমার জীবন আমার মরন আমার সুকৃতি
আমার নামাজ এবং আমার সকল প্রস্তুতি
কবুল করে নাও হে প্রভু
গাফুরুর রাহিম।।

পথ পাবার পর আবার যারা ভ্রান্ত হলো হায়
তাদের মত হে দয়াময় করোনা আমায়
চাইনা জীবন বিড়ম্বিত
সান্ত্বনা বিহীন।।

আল জিহাদ ফি সাবিলিল্ললায়
রাখো বিরামহীন।।

কবিঃ মতিউর রহমান মল্লিক

আল্লাহ কে সত্যি ভালবাসে যে

আল্লাহ কে সত্যি ভালবাসে যে
আল্লাহর দ্বীনকে
সে আলোর ক্ষীণ কেও
মনের গভীর থেকে ভালবাসে সে।

ভালবাসে রাসুলের পবিত্র সুন্নাহ
সুন্নাহই মেনে নেয় তার খাঁটি উম্মাহ
হোক না তা বিয়ে শাদী,অনুরোধ সাধাসাধি
মেনে নেয় তার সবি অনায়াসে।

আল্লাহ কে সত্যি ভালবাসে যে
আল্লাহর দ্বীনকে
সে আলোর ক্ষীণ কেও
মনের গভীর থেকে ভালবাসে সে।

আল্লাহ কে সত্যি ভালবাসে যে
ভালবাসে কোরআন, হাদিসের আহবান
জীবনের ঘানি টানে ঐ দুটি নির্দেশে।

ভালবাসে রাসুলের অনুপম সংস্কৃতি
হোক না তা যুদ্ধ শান্তির রাজনীতি
হোক না তা দেশ সেবা
লেনদেন নেওয়া দেওয়া
ত্যাগ কোরবানি করে হেসে হেসে।

আল্লাহ কে সত্যি ভালবাসে যে
আল্লাহর দ্বীনকে
সে আলোর ক্ষীণ কেও
মনের গভীর থেকে ভালবাসে সে।

Friday 5 July 2013

যখন ছিলনা কিছুই ছিলে শুধু তুমি

যখন ছিলনা কিছুই ছিলে শুধু তুমি
যখন ছিলনা কিছুই ছিলে শুধু তুমি
যখন রবে কিছুই রবে শুধু তুমি
আমি যে তোমার তুমি আমারই যে তাই
শুধুই তোমাকে চাই

দিনের শুরুতে আমি তোমাকে চাই
রাতের শেষেও আমি তোমাকে চাই
ঘুম ঘুম চোখে আমি তোমাকে চাই
শুধু তোমাকে চাই

পরম আনন্দে আমি তোমাকে চাই
গভীর শোকেও আমি তোমাকে চাই
হপ্তাশা বেথায় আমি তোমাকে চাই
শুধুই তোমাকি চাই

মরনের মুখে আমি তোমাকে চাই
একাকি কবরে আমি তোমাকে চাই
কঠিন বিচার দিনে তোমাকে চাই
শুধুই তোমাকে চাই

হিসাবের খাতা হাতে তোমাকে চাই
পুলসিরাতের কাছে তোমাকে চাই
ফেরদাউসের পাশে তোমাকে চাই
শুধুই তোমাকে চাই

কথাঃ খাদিজা আক্তার রেজায়ী
সুরঃ মশিউর রহমান
শিল্পিঃ এস এম শামীমুল হক

আমার মন শুধুই কাঁদে হায়

আমার মন শুধুই কাঁদে হায়
উদাসী হই যারও লাগি
বুকে সেই নাম বাজে হায়

বাঁশির বীণায় শুধু হাহাকার
শুনছি আমি দিকে দিকে
এ কোন সুরের তানে মলিন হিয়া
গুনছে প্রহর তোমার ডাকে

সুখের আশায় জীবন আমার
ভুলেছে ওগো তোমার দিশা
অনেক ভুলের মাঝে আমি অসহায়
তাইতো খুজি মনের তৃষা

কথা ও সুরঃ মোহাম্মদ পারভেজ

রোজার মাসে হৃদয় হাসে

রোজার মাসে হৃদয় হাসে
হাসে বনের ফুল
আকাশ নদী চাঁদ সিতারা
আনন্দে মাশগুল

কেউ বা বসে কোরয়ান পড়ে
তাসবিহ জপে জিকির করে
রবের কাছে ধরনা ধরে
ভাঙ্গে মনের ভুল

যার নসিবে সিয়াম জুটে
সেই তো বড় সুখি
জীবন জুড়ে ফুটতে থাকে
হাজার সূর্যমুখী

সামনে ভাসে নেকির ডালা
এখন শুধু নেয়ার পালা
সু-স্বাগতম হে রোজারদার
গায় পাখি বুলবুল

কথাঃ বিলাল হোসাইন নুরী
সুরঃ মশিউর রহমান

Wednesday 3 July 2013

রমজান তো চলে যায়

রমজান তো চলে যায়
কেন তবে হায় অলস মায়ায়
রইলে ডুবে ঘুমের নেশায়।
জাগো জাগো জাগো অলসতা ছাড়
কাটায়োনা দিনগুলি শুধুই হেলায়।

মুসলিম তুমি ভেবে দেখ মনে,
করেছ কি তুমি সারা জীবনে।
পাড়ি দেবে ভরা নদী কোন ভরসায়।

কখনো জীবনে আসেনাকো ফিরে,
যে দিন চলে যায় অতীতের তীরে।
রবেনা তো কেউ জানি এই দুনিয়ায়।

সময় থাকিতে ওরে ও মুসাফির,
কুড়ায়ে নে রহমত এলাহীর।
তা না হলে নেই কারো কোনই উপায়।


কথা: সিরাজুল ইসলাম
সুর: মামুন ও গালিব সর্দার

Tuesday 2 July 2013

একটি বছর পরে আবার

একটি বছর পরে আবার
ফিরে এলো মাহে রমযান
মুমিন হৃদয়ে পড়লো সাড়া
উঠলো জেগে নতুন প্রাণ।।

আল্লাহ তায়ালার তরে রোযা
পালন করো ওহে গুনাহগার
নিজের হাতে দিবেন তিনি
সিয়াম সাধনার পুরস্কার
রমযানের এই রোযা পালন
আল্লাহ তায়ালার ফরমান।।

রমযানের এই মাসে প্রভু
সত্য পথে গড়বো জীবন
বিপদ আপদ থাকবেনা যে
ঠিকমতো হয় যদি রোযা পালন
রমযান সেতো ঢাল স্বরূপ
হৃদয় ভরে গাও তার গান।।


কথা- আব্দুল্লাহ আল কাফী
সুর- মশিউর রহমান

এসো মুক্তির পথে হে নবীন

কথা ও সুরঃ ফখরুল ইসলাম

এসো মুক্তির পথে হে নবীন
এ ধরাতে আনতে সুদিন,
এই আহ্বান তোমাদের কাছে
কোরানের রঙ্গে রাঙ্গাও জীবন।

চার দিকে দেখ বইছে দূষিত বাতাস
এসো দলে দলে আনতে সুখের আভাস।
রবের দেয়া জীবন বিধান,
বুকে নিয়ে হও আগুয়ান। ঐ

কাটাতে অমানিসা এসো তাই হাতে রাখি হাত,
সব কালো দূর করে আনবো নতুন প্রভাত।

সব নিপীড়ন আর যুলুমের করে অবসান
ফিরায়ে আনব সোনালী শাশন রাশেদার।
আকাশে বাতাসে ভেসে আসবে
অবারিত শান্তির বীণ।

আল্লাহকে সত্যি ভালোবাসে যে

আল্লাহকে সত্যি ভালোবাসে যে
আল্লাহর দ্বীনকেও
সে আলোর ক্ষীণকেও
মনের গভির থেকে ভালোবাসে সে ।।

ভালোবাসে রাসুলের পবিত্র সুন্নাহ
সুন্নাই মেনে নেয় তার খাঁটি উম্মাহ
হোক না তা বিয়ে শাদী
অনুরোধ সাধা সাধি
মেনে নেয় তার সবই অনায়াসে ।।

আল্লাহকে সত্যি ভালোবাসে যে
ভালোবাসে কোরআন হাদিসের আহবান
জীবনের ঘানি টানে ঐ দুটি নির্দেশে

ভালোবাসে রাসুলের অনুপম সংস্কৃতি
হোক না তা যুদ্ধ শান্তির রাজনীতি
হোক না তা দেশ সেবা
লেনদেন নেবা দেবা
ত্যাগ কোরবানি করে হেঁসে হেঁসে ।।

কথা :: কবি মতিউর রহমান মল্লিক
সুর :: মশিউর রহমান
শিল্পী :: শাহাবুদ্দিন
এলবাম :: আল্লাহকে সত্যি ভালোবাসে যে

সুন্নাত নয় শুধু

সুন্নাত নয় শুধু
দাওয়াতের মেহমান
সুন্নাত নয় শুধু
খাওয়া শেষে মধুপান,
আরও কিছু সুন্নাত
আছে তুমি জান কি?
জানলেও
জীবনে কখনো তা মান
কি?
সুন্নাত শুধু নয়
মজলুমের সহায়ক
সুন্নাত
ওহুদে জালিমের
প্রতিরোধ।
সুন্নাত শুধু নয় নির্জন
ধ্যানে যাওয়া
আরও সুন্নাত হল
পাথরের আঘাত খাওয়া।
মুহাব্বতে তার সুদিনের
সাথী তুমি,
দুর্দিনেও তার
পাশে থাক কি?
সুন্নাত কোরআনের
সমাজ বিনির্মাণে
বৈরী সকল পথ
মাড়িয়ে চলা,
সুন্নাত
দাওয়াতে দীনের
পাশাপাশি
ইসলাম রক্ষায়
হাতে তলোয়ার তোলা।
সুন্নাত শুধু নয় নমনীয়
আলাপন
সুন্নাত
প্রয়োজনে হুঙ্কার
গর্জন,
সুন্নাত শুধু নয় মেষ
চড়াতে যাওয়া
আরও সুন্নাত হল
রাষ্ট্র নায়ক হওয়া।
মুহাব্বতে তার খালিদ-
ওমর-আলী
আবুবকরের মত
পাশে থাক কি???
আরও কিছু সুন্নাত
আছে তুমি জান কি?
জানলেও
জীবনে কখনো তা মান
কি?
সুন্নাত নয় শুধু
দাওয়াতের মেহমান
সুন্নাত নয় শুধু
খাওয়া শেষে মধুপান,
আরও কিছু সুন্নাত
আছে তুমি জান কি?
জানলেও
জীবনে কখনো তা মান
কি

যদি তিতুর বাঁশের ঐ ভাঙ্গা কেল্লা হতে

যদি তিতুর বাঁশের ঐ ভাঙ্গা কেল্লা হতে

যদি তিতুর বাঁশের ঐ ভাঙ্গা কেল্লা হতে
ভেসে আসে জিহাদের সুর
তবে সর্বশক্তি নিয়ে চলে যাব আমি আজ
হোকনা সে দূর বহূদূর।।

এ পথে যদি যেয়ে কেটে যায় ডান হাত
বা হাতে করব জিহাদ
আসুক যত ঝড় বাঁধার শত পাহাড়
আসুক শত বিপদ
এগিয়ে যাব আমি বাঁধার পাহাড় দলে
থামবনা আমি কভু আর।।

জীবনের সব স্বাধ করে দিয়ে বিঃস্বাধ
এগিয়ে চলে মুজাহিদ
রনাঙ্গনে যেয়েও তাদের কামনা
কবুল কর শাহাদাত
কোরানের বাণীগুলো পৌঁছাতে দ্বারে দ্বারে
ছুটছে ওরা বারেবার।।

-আবুল আলা মাসুম-

কিছু কিছু কথা আছে বলা যায় না

কিছু কিছু কথা
কিছু কিছু কথা আছে বলা যায় না
কিছু কিছু ব্যাথা আছে সওয়া যায় না

কলবের মাঝে যার কালো ছাপ মারা
কে বাঁচাবে তাকে বলো রব তুমি ছাড়া
কখন সে ভাবে না ঐ পথে যাবেনা
যে পথে তোমার খুশি পাওয়া যায় না ।।

কিছু কিছু পথিকের পথ বলে দাও
কিছু কিছু পথিকের সাহস বাড়াও

খোলা তলোয়ার ছিলো ওমরের হাতে
দুশমনি ছিলো তার রাসুলের সাথে
তুমি দিলে তার মনে কিযে ভালোবাসা এনে
এমন নজির আর পাওয়া যায় না ।।

বহুদিন ধরে হয় না লেখা গান

বহুদিন ধরে হয় না লেখা গান
বহুদিন ধরে হয় না লেখা গান
কণ্ঠ ছেড়ে যে হয় না সাধা সুর
কবিতার খাতা ধূসর মলিন আজ
হৃদয় তটিনী বেদনাবিধূর।

নদী আজ ছন্দহীন পাখিরাও নির্বাক
থেমে গেছে আজ জীবনের হাঁকডাক
ভোরের সূর্য ঐ আঁধারে ঢাকা
ঘুম নেই আঁখিতে গাঁয়ের বধুর।

ফুলেরাও গন্ধহীন ঝরে যায় নিশ্চুপ
ঝর্ণাকে মনে হয় মরনেরই কুপ
সবুজ শ্যামলে বর্ণহীন কষ্ট
বাঁশরীর তাল-লয় লাগে না মধুর।

কথাঃ আবু তাহের বেলাল
সুরঃ মশিউর রহমান

বাংলাদেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে

বাংলাদেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে
ধন্য হলাম চির ধন্য,
আমি জীবন দিতে পারি তাইতো
এই দেশের মাটির জন্য ।

তিতুমীর শরিয়ত উল্লাহর
রক্তে ভেজানো এই দেশ
লাখো কোটি মুমিনের দৃপ্ত চেতনায়
মিশে আছে আমাদের এই দেশ
এই দেশটাকে তাই হতে দেবো না
বর্গীর হাতে কোন পণ্য ।

বাংলাদেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে
ধন্য হলাম চির ধন্য,
আমি জীবন দিতে পারি তাইতো
এই দেশের মাটির জন্য ।

শাহ মাখদুম শাহ জালালের
দ্বীন কায়েমের এই দেশ
কবি ফররূখের কবিতা গানে
মিশে আছে আমার এই দেশ ।
এই দেশটাকে তাই হতে দেবো না
বর্গীর হাতে কোন পণ্য।

গীতিকার ও সুরকারঃ আমিরুল মু'মিনিন মানিক
গাওয়াঃ বিকল্প রাজশাহী
এ্যালবামঃ নোলক

রাত কেটেছে স্বপ্নে বিভোর

রাত কেটেছে স্বপ্নে বিভোর
দিন কেটেছে ভাবতে
কতটা সময় লাগবে তোমার
দ্বীনের পথে নামতে?
দ্বীনের পথে নামতে?

রাত কেটেছে স্বপ্নে বিভোর
দিন কেটেছে ভাবতে
কতটা সময় লাগবে তোমার
দ্বীনের পথে নামতে?
দ্বীনের পথে নামতে?

সামনে রয়েছে দূরের যাত্রা
বিভিষীকাময় রাত্রি
রয়েছে শ্বাপদ অরণ্যঘন
দুর্বল অভিযাত্রী
জানলে কী আর এই পথে কখনো
জানলে কী আর এই পথে কখনো
অসময়ে তুমি আসতে?

রাত কেটেছে স্বপ্নে বিভোর
দিন কেটেছে ভাবতে
কতটা সময় লাগবে তোমার
দ্বীনের পথে নামতে ?
দ্বীনের পথে নামতে ?

সময় তোমায় করবে না ক্ষমা
অক্ষমতার জন্যে
তোমার বিচার করবেই দেখো
সহসা জনারণ্যে

ভেঙ্গে ফেলো এই সপ্ন প্রাসাদ
নেমে এসো রাজপথে ।
জনতা মিছিল সংগ দেবে
একপথে এক মতে
হাত তুলে ওরা দোয়া করে দেখো,
হাত তুলে ওরা দোয়া করে দেখো,
বিজয় তোমার আনতে ।

রাত কেটেছে স্বপ্নে বিভোর
দিন কেটেছে ভাবতে
কতটা সময় লাগবে তোমার
দ্বীনের পথে নামতে?
দ্বীনের পথে নামতে?

Friday 28 June 2013

আল্লাহর পথে যারা দিয়েছে জীবন

আল্লাহর পথে যারা দিয়েছে জীবন
তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বলো না মৃত

ওরা আছে চেতনায় আমাদের
ওরা আছে প্রেরনায় আমাদের
ওরা আছে সংগ্রামে সাধনায়
দুর্বার দুর্গম অপরাজিত।

তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বলো না মৃত
ওরা আছে অলখে আমাদের
ওরা আছে পলকে আমাদের
ওরা আছে মিছিলে মিছিলে
চিরদিন চিরচেনা পরিচিত।

তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বলো না মৃত
ওরা আছে সাহসে আমাদের
ওরা আছে সমুখে আমাদের
ওরা হল শহীদি জীবনের
সংগ্রামী পতাকা উচ্চকিত।
তাঁদেরকে তোমরা মৃত বলো না, বলো না মৃত

আজ আর করিনা ভয়

আজ আর করিনা ভয়
ঝড় আসুক মোরা নির্ভয় x3

লড়ব মোরা মরব
ও লড়ব মোরা মরব x3
যদিও তাগুত প্রানে না সয়
ঝড় আসুক মোরা নির্ভয়

(Chorus)

ঐ যে দিগন্তে সীমানার প্রান্তে
রক্তিম সূর্য উদয়
ভয় কিরে তোদের, আয় সাথে মোদের
হবেই আমাদের জয় x2

(chorus)

আজ আর করিনা ভয়
ঝড় আসুক মোরা নির্ভয় x2

আজ এই জীবনে মায়া তুলেছি
আপন মরনে শংকা ভুলেছি x2

ঝান্ডা উড়িয়ে আনব ফিরিয়ে
বিজয়ী সেই সে নিশান
বুকেতে ঈমান হাতেতে কোরান
মুখেতে সংগ্রামী গান
ওওও দীপ্ত শপথে শহীদ হতে
বেঁধেছি মৃত্যু কাফন
কোরানী সমাজ কায়েম হবে আজ
দু চোখে এইতো স্বপন



হে খোদা মোর হৃদয় হতে

হে খোদা মোর হৃদয় হতে
দূর করে দাও সকল বেদনা
সকল ভাবনা
দূর করে দাও সব যন্ত্রনা
সকল যাতনা

তুমি ছাড়া কেউ যেন আর
জায়গা না পায় লুকিয়ে থাকার
এই অন্তরে এই পরানে
তুমি কামনা

হে খোদা মোর হৃদয় হতে
দূর করে দাও সকল বেদনা
সকল ভাবনা

আলেয়া সব আলো তো নয়
মিথ্যা অমানিশা
খাঁটি প্রেমের তুমি আঁধার
আর সকলই বৃথা

তোমার প্রেমে হয়ে পাগল
দুই নয়নে নামিয়ে বাদল
তোমার প্রেমে হয়ে পাগল
দুই নয়নে নামিয়ে বাদল
যায় ভাসিয়ে
যেন আমি দহন বেদনা

হে খোদা মোর হৃদয় হতে
দূর করে দাও সকল বেদনা
সকল ভাবনা
দূর করে দাও সব যন্ত্রনা
সকল যাতনা
হে খোদা মোর হৃদয় হতে
দূর করে দাও সকল বেদনা
দহন
যাতনা...

-মতিউর রহমান মল্লিক-

সে কোন বন্ধু বল বেশী বিশ্বস্ত

সে কোন বন্ধু বল বেশী বিশ্বস্ত
কার কাছে মন খুলে দেওয়া যায়
কার কাছে সব কথা বলা যায়
হওয়া যায় বেশী আশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

যে জন কখনো ব্যাথা দিতে জানেনা
যে জন কেবলই মুছে দেয় বেদনা
হৃদয়ের হাহাকার আপন করে নিতে আর
কার বুক এত প্রশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।

মহানবী বলে তারে কেউ বা ডাকে
আমি ডাকি প্রিয়তম
সে আমার ধ্যান ভালাবাসা প্রেম
মধুময় মনোহর স্বপ্ন সমর

যে জন করুণার অনুপম উপমা
যার মত মরমী/দরদী কোথায় আর মিলেনা
জীবনের আঙ্গিনায় আবাদ করে দিতে আর
কার বুক এত প্রশ্বস্ত
তার নাম আহমদ বড় বিশ্বস্ত।


-মতিউর রহমান মল্লিক-

Saturday 15 June 2013

পদ্মা মেঘনা যমুনার তীরে আমরা শিবির গড়েছি




পদ্মা মেঘনা যমুনার তীরে
আমরা শিবির গড়েছি
শপথের সঙ্গিন হাতে নিয়ে সকলে
নবীজির রাস্তা ধরেছি
আমরা শিবির গড়েছি।

এই শিবিরের শান্তিছায়ায়
মজলুম মানবতা নেবে যে গো ঠাঁই
মানুষ গড়ার এই আঙ্গিনায়
আল কোরানের বাণী পড়েছি
আমরা শিবির গড়েছি।।

আমাদের কেহ তিতুমীর হয়ে
জালিমের কন্ঠ রুখবে
শরীয়তুল্লাহর ইসলামী বিপ্লব
ছাত্র জনতা গড়বে।

এই জিহাদের দীপ্ত শপথে
পথচলা শুরু হোক তবে আজি হতে
শান্তি আনবো বিশ্ব জগতে
সত্য শপথ করেছি
আমরা শিবির গড়েছি।।

শাহজালালের পুণ্য জিহাদে
একদিন জনগণ জাগবে
শাহ মাখদুমের সংগ্রামী ছোঁয়া
প্রানে প্রানে সকলের লাগবে।

হে মহাদিশারী আলোর কাফেলা
জেগে ওঠো জেগে ওঠো তবে এই বেলা
মুক্তির সূর্য উদয়ের লগ্নে
তারি আয়োজন আজ করেছি।
আমরা শিবির গড়েছি।।