ইসলামী সঙ্গীত লিরিক্স

Tuesday 17 August 2010

আল্লাহ আমার তোমার কাছে

আল্লাহ আমার তোমার কাছে
চাওয়ার কিছু নাই
তুমি যা বুঝেছ তাই দিয়েছ
আর কিছু না চাই।।

যেমন সাজে তেমনি সাজাও
যেমন বাজে তেমনি বাজাও
যেমন খুশী হাসাও কাঁদাও
যখন যেরূপ তাই।।

নিজের কিছু নাই হে মালিক
নয় কিছু আমার
জীবন ও মান ধন ও দৌলত
সকলি তোমার।।

যখন যা দাও হাসি মুখে
গ্রহন করি পরম সুখে
আরজু শুধু আমার বুকে
তোমায় যেন পাই।।

-আজীজুর রহমান-

তোমার নামের তসবীহ খোদা

তোমার নামের তসবীহ খোদা
লুকিয়ে যেন রাখি
সংগোপনে মনে মনে
তোমায় যেন ডাকি।।

মস্তানা সে নেশার ঝোঁকে
নীরব উদাস দুঃখ শোকে
আমি যেন সবার চোখে
পাপী হয়ে থাকি।।

সবাই আমায় করুক ঘৃনা
চাইনা ফুলের মালা
তোমার নামের আবেহায়াত
মিটাক প্রানের জ্বালা।।

মাটির খোলা সাঙ্গঁ হলে
তখন যেন যায়গো চলে
আল্লাহ আল্লাহ বলে
আমার পরান পাখি।।

-আজীজুর রহমান-

স্বপ্নের ঘুড়ি ওড়ে আকাশে আকাশে

স্বপ্নের ঘুড়ি ওড়ে আকাশে আকাশে.
সুখ দু:খ ডানা মেলে বাতাসে বাতাসে ॥
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন বিলিয়ে ধন্য ॥
সে আমার দেশ, আমার বাংলাদেশে।

কিষাণ বধু নকশী কাঁথাতে দূ:খ বেদনা আঁকে,
হলদে পাড়ের শাড়ি কপালে টিপ মেঠো পথে চেয়ে থাকে ॥
স্বপ্ন সোয়ামীর চরণ তলে
সুখের তারা হাসে।

গোধুলী বেলায় বাঁশের বাঁশিতে রাখাল তোলে সুর,
দোলা দিয়ে যায় সেই সে সুরে কখনো কখনো বিধুর ॥
সাঁঝের আকাশে মিটিমিটি
সুখতারারা হাসে।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
২২.১১.২০০৭

আমার এই দেশ প্রিয় জন্মভূমি

আমার এই দেশ প্রিয় জন্মভূমি
ভালবাসি তোমায় অপরূপা তুমি।

তোমার মেঠো পথে রাখাল বাজায় বাঁশি
গানের সুরে সুরে,
সকালের সোনা রোদ আদর সোহাগে
হৃদয় মনও প্রাণ দেয় যে ভরে।
তোমার ধুলোমাটি আমার খেলার সাথী
দেয় সে যে পদচুমি।

তোমার সোনামাঠে হলুদ রবির আলো
ছড়ায় সবুজ জুড়ে,
আলোর গন্ধে এই হৃদয় দুয়ারে
মৌ মৌ করে যায় মধুর সুরে।
তোমার রূপ ও জ্যোতি মনের দুয়ার খুলে
গড়ে যায় প্রেমের মমি।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

আমারও দেশেরও মাটি

আমারও দেশেরও মাটি
যেন বিছানো এক অপরূপ শীতল পাটি ॥

এখানে পাকা ধানের শীষে
কৃষকের হাঁসি আছে মিশে।
এখানে ঝিলের শান্ত জলে
পদ্ম হৃদয় মাতিয়ে তোলে।
প্রভাতের দূর্বা ঘাসে শিশির ছড়ানো
মুক্ত বিছানো পরিপাটি।

এখানে মেঠো পথের ধুলোয়
রাখালের বাঁশি দুঃখ ভুলায়।
এখানে বটের শীতল ছায়ায়
ক্লান্ত পথিক হৃদয়ও জুড়ায়।
মোহময় সন্ধ্যাকাশে চাঁদের পাশে
তারা হাঁসে মিটিমিটি।


কথাঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
সুরঃ শোয়েব আলী

যেদিকে তাকাই পাই খুঁজে পাই

যেদিকে তাকাই পাই খুঁজে পাই,
জন্মভূমি গো, তোমারি রূপ সুষমা
জন্মভূমি গো, তোমারি নেই তুলনা।

ঐ কৃষ্ণচুড়ার বুকে তোমায় দেখি
ঐ কদম ফুলের পরে তোমায় দেখি।
ঐ শান্ত দীঘীর জলে তোমাকেই পাই
শাপলা শালুকের বুকে পাই যে তোমায়।
সুবজের রং মেখে তোমাতে হারায়।

এখানে প্রভাত আসে পাখিরও গানে
গান গেয়ে যায় তারা আল্লাহ নামে।

ঐ নদীর কলতানে তোমায় শুনি
ঐ পাখির কুহুগানে তোমায় শুনি।
ঐ সাদা সাদা কাশফুলের মাঝে
তোমায় খুঁজি আমি সকাল সাঁঝে।
নীলিম গগন এই মনে দোলা দেয়।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

সবুজ শ্যামল রূপে ভরা আমার প্রিয় বসুন্ধরা

সবুজ শ্যামল রূপে ভরা আমার প্রিয় বসুন্ধরা
আমার সোনার দেশ
সে যে আমার জন্মভূমি আমার বাংলাদেশ।

আমার দীঘির শান্ত জলে,
শাপলা শালুক কলমীলতা মনের কথা বলে।
সূয্যি মামা সকাল বেলায় যায় দিয়ে যায় চুম
কপোল মাঝে চাঁদের ছোঁয়া লাগে বড় বেশ।

আমার দেশের ঐ আকাশে,
সন্ধ্যাবেলায় লক্ষ তারা মনের সুখে হাঁসে ॥
নীল জ্বোনাকী অন্ধকারে আসর জমায় বেশ-
এইতো আমার রূপবতি আমার প্রাণের দেশ।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

ঝর্ণা নামে ঝর্ণা ঝর্ণা

ঝর্ণা নামে ঝর্ণা ঝর্ণা
মায়ের চোখে ঝর্ণা ঝর্ণা।

সে ধারা নেমেছিল বাহান্নতে চোখের কোণে,
ভাঙা নায়ে ভাষার বাদাম উড়ল যেদিন ভায়ের খুনে।
আজো সেই বাদাম খানি
উড়ছে দেখ নায়ের পরে,
তবু কেন আকাশ ভারী হচ্ছে মায়ের হাহাকারে।
হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণ থামেনা।

সে ধারা নেমেছিল আমার দেশের ঘরে ঘরে,
বিনিময়ে স্বাধীনতা পেলাম যে ভাই একাত্তরে।
তবু কেন দেশটা মলিন
শোষন জুলুম নিপীড়নে,
মজলুম মানবতার অশ্রুধারা চোখের কোণে।
শান্তির পায়রা কেন ওড়েনা।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

প্রকৃতির বুক জুড়ে সবুজের হাট

প্রকৃতির বুক জুড়ে সবুজের হাট
দিগন্ত বিস্তৃত অবারিত মাঠ।
কোন সেই দেশ, রূপের নেই শেষ
সবুজে শ্যামলে ভরা আমার এই দেশ।
আমার প্রিয় দেশ, তোমার প্রিয় দেশ, সবার বাংলাদেশ।

এখানে শীতের সকালে সবুজ ঘাসে
মুক্তকণা শিশিরের মেলা বসে।
শরতের সাদা সাদা কাশফুলে হায়
চোখ জুড়িয়ে যায় মন ভরে যায়।
কোন সেই দেশ..............

এখানে গোধুলি রবি লালিমা ছড়ায়
আঁকাবাঁকা শত নদী যায় বয়ে যায়।
এখানে প্রভাত আসে পাখিরও গানে
গান গেয়ে যায় তারা আল্লাহ্‌ নামে।
কোন সেই দেশ................

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

বাতাসের মত যদি হতো এই মন

বাতাসের মত যদি হতো এই মন,
উড়িয়ে দিতাম আমি তারে,
ডেকে ডেকে বলতাম যারে......
যা উড়ে মদীনার খেজুরের বন ॥

পাখির মত ডানা থাকতো যদি,
পেরিয়ে যেতাম আমি সাগর নদী ॥
রওজা যেয়ারতের বাসনায় এ হৃদয়
সদায় থাকে উচাটন।

ধন্য মদীনার ধুলি কণা,
রাসুলের পদ চুমে হলিরে সোনা ॥
সুরমার মত করে মাখাবো তোরে
ভরাবো আমার দু’নয়ন।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
০৭.০১.২০১০

ইয়া রাসুলাল্লাহ, ইয়া কামলিওয়ালা

ইয়া রাসুলাল্লাহ, ইয়া কামলিওয়ালা,
ইয়া নাবিআল্লাহ, ইয়া হাবিবাল্লাহ ॥
তুমি এলে আলো হয়ে আঁধার ধরায়,
প্রাণে প্রাণে প্রাণের আলো দিলে ভরায় ॥
তুমি এলে বলে বসে গানের মেলা।

মরুর দেশে দুর মদীনায়,
উঠলো হেসে সেই আলোময় ॥
তাঁর ছোঁয়া পেয়ে ধন্য মানব জাতি,
ফুল পাখিরা তাঁর প্রেমে উঠলো মাতি ॥
নুরুন নূরে যায় দুরে প্রাণের জ্বালা।

শত্রু সেদিন বন্ধু হলো,
সঠিক পথের দিশা পেলো ॥
তাঁর হাসিতে ব্যথার নদী থেমে যায়,
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে যায় ॥
একই সুরে গায় সবে সালেস্নআলা।


কথা ও সুর: আব্দুস শাকুর তুহিন

Muhammad Mustafa

In the dark cave of Hira
Who cried everyday?
To stop murder and lie
Who prayed everyday?
Muhammad Mustafa, Ahmad Mustafa.

Who was hurt to see Bloodshed in the society,
Who taught human brotherhood And humanity.
Who brought light from Allah
To lighten life bay.

Who was beloved and chosen one By creator,
Who was mercy for mankind And who was teacher.
Who had broken all falsehood
And evil way.

Lyric: Abdus Shakur Tuhin

ইয়া রাসুলাল্লাহ, ইয়া হাবিবাল্লাহ, ইয়া নাবিআল্লাহ

ইয়া রাসুলাল্লাহ, ইয়া হাবিবাল্লাহ, ইয়া নাবিআল্লাহ ॥
তুমি এলে মরুর বুকে
ফুটলো আলোর ফুল,
সেই ফুলেরই রৌশনীতে দুনিয়া মাশগুল ॥

ভোরের আলো ফুটার আগে
ফুটলো সে ফুল কলি,
আলোর মশাল জ্বাললে ধরায়
আঁধার পায়ে দলি ॥
ছন্দ তুলে ফুল পাখিরা গাইলো মাশা আল্লাহ।

বদ্ধ ঘরে নতুন করে
হানলো কঠোর আঘাত,
নূরুন নূরে হৃদয় ঘরে
ভাসলো রাঙ্গা প্রভাত ॥
শিরায় শিরায় খুশির নাচন আলহামদুলিল্লাহ।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
২৫.১০.২০০৭

আকাশের ঐ নীল ভালবাসি

আকাশের ঐ নীল ভালবাসি
সাগরের জল বড় ভালবাসি,
তার চেয়ে ভালবাসি সেই চাঁদমুখ
আঁধার গগনে যিনি আলোকরাশি।

মেঘের পাহাড় মাথার পরে
ছায়া দিত ভালবেসে,
শুকনো গাছে প্রাণের ছোঁয়া
লাগত তারই প্রাণ পরশে।
তারই প্রেমে আসল নেমে ঝর্ণাধারার জলরাশি।

মরুভূমি হল সজীব
তাহার পায়ের পরশ পেয়ে,
শাখে শাখে শত বুলবুল
তাহার নামে উঠল গেয়ে।
তারই তরে সুরে সুরে উঠল গেয়ে মদিনাবাসী।

তলায়াল বাদরু আলাইনা, মিনসানি ইয়াতিল উইদা,
ওয়াজাবাশ শুকরু আ’লাইনা, মাদায়া’ লিল্লাহিদা।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

তুমি চলে গেছ দুরে হে প্রিয় নবী

তুমি চলে গেছ দুরে হে প্রিয় নবী,
তোমারি বিরহে কাঁদে এই ধরণীর সবি।

তোমারি আগমনে ফুটেছিল ফুল,
তোমার প্রেমে গেয়েছিল শত বুলবুল ॥
তোমায় পেয়ে উঠেছিল ধরায় নতুন রবি।

তুমি বিনা দ্বীনের রবি নিভূ নিভূ করে,
বীর মুসলিম এখন ঘুমায় অলস ভরে।

শকুনের কালো থাবা ঘিরেছে গগন,
মুমিনের রক্তে ভেজা পৃথিবী কানন।
তুমি বিনা এ সংসারে আসবে না শান্তি।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

তুমি আমার প্রিয় নেতা খোদারই রাসূল

তুমি আমার প্রিয় নেতা খোদারই রাসূল,
জাহান জুড়ে ওগো নাবী নেই তোমারই তুল।

সব মানুষের সেরা তুমি, সৃষ্টিকূলের শ্রেষ্ঠ তুমি।
আল্লাহ তায়ালার হাবিব তুমি, মানবের আদর্শ তুমি।
রহমাতে আলম তুমি, সায়্যিদুল মুরসালিন তুমি।
তোমার প্রেমে মাতোয়ারা বিশ্ব সৃষ্টিকূল।

অন্ধকারে আলো তুমি, দ্বীন ইসলামের রবি তুমি
মহা সত্যবাদী তুমি, মিথ্যা বিনাশকারী তুমি।
ক্ষমার অবতার তুমি, পথের দিশারী তুমি।
তোমার নামে পড়ি দরুদ হয়ে যে মাশগুল।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

ফুলের সেরা ফুল

ফুলের সেরা ফুল
সুবাসে তার দুনিয়া মাশগুল।

যার আগমনে এ ধরায় উঠলো নতুন রবি,
তার রঙে রঙিন হলো যে সবি।
পাপড়ি মেলে দিল হাজারা ফুল।

চাঁদে ও গ্রহণ লাগে সে মুখে লাগেনি গ্রহণ,
জাহেলি আঁধার কেটে আলোময় হলো এ ভুবন।

আলোর পাখিরা আলোর তরে উঠলো গেয়ে,
তপ্ত মরু ও উঠলো নেয়ে।
ভাসলো নূরুন নূরে হৃদয়ও কূল।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

জন্ম আমার হত যদি ঐ আরবের দেশে

জন্ম আমার হত যদি ঐ আরবের দেশে,
দ্বীনের নকীব এলেন যেথায় সকল আঁধার নেশে।

ভালবেসে তিনি আমায় নিতেন কোলে তুলে,
তার পরশে দুঃখ যাতনআ যেতাম সবি ভুলে ॥
হৃদয় মাঝে সুখ পাখিটা গাইতো যে গান হেসে।

হতাম যদি পাহাড় কিবা শুকনো খেজুর বন,
তার পরশে হত সজীব আমার এই তনুমন ॥
সাদিক নূরে জীবন নদীর দুকূল যেত ভেসে।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

আকাশের ঐ চাঁদ কত যে দেখেছি

আকাশের ঐ চাঁদ কত যে দেখেছি
তারাদের জোছনা কত যে মেখেছি
শুধু দেখেনি তোমার ঐ চাঁদমুখ,
সবুজ শ্যামলিমা কত যে দেখেছি
শাখায় শাখায় দোল কত যে খেয়েছি
তোমার ঐ চাঁদমুখ দেখিনি দেখিনি
হে রাসুল আমার প্রিয় রাসুল।

কবিদের কবিতায় কত যে খুঁজেছি
শিল্পীর তুলিতে কত ছবি এঁকেছি।
শয়নে স্বপনে গানে গানে সুরে সুরে হারিয়ে গেছি।
গোধুলীর লালিমা কত যে দেখেছি
রংধনু রঙে মন রাঙ্গিয়েছি ॥

সাগরের নীলিমায় কত যে খুঁজেছি
মেঘেরও ভেলায় কত যে ভেসেছি।
চেতনার ভাবনায় মননে চিন্তায় তোমারি তরে কেঁদেছি।
পাখিদের কুহু গান কত যে শুনেছি
শ্রাবনের সন্ধ্যায় তোমাকেই খুঁজেছি ॥


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

হারানোর বেদনা কেউতো বোঝে না

হারানোর বেদনা কেউতো বোঝে না,
ডুবেছি আঁধারে হারিয়ে জোছনা,
বুক জুড়ে আছে শুধু কান্না কান্না।

তোমারই বিরহে গানেরও বনে
সুরেরও পাখিরা কাঁদে সংগোপনে।
পাপড়ি না মেলে ঝরে গেল কত ফুল,
গান না ফুরায়ে উড়ে গেল বুলবুল।
তুমি নাবী পরপারে আমাকে ভুল না।

আহমাদ নামে আছে কোন সে শরার,
যে শরাব পিয়ে দেখি খুলে গেছে জান্নাতী বাব।

তোমারই বিরহে প্রেম কাননে
সবুজ পাতারা ঝরে ক্ষনে ক্ষনে।
ফাগুনে নামে যেন দুঃখেরও আগুন
বিরহ বীণায় বাজে সুর সুকরুণ।
স্বপ্নে তুমি এসে আমাকে তরাও না।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

বালাগাল উলা বি কামালিহি

বালাগাল উলা বি কামালিহি
কাশাফুদ্দুজা বি জামালিহি
হাসুনাত জামিউ খিসলিহি
সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি।

তুমি এলে তাই মরুর বুকে ফুটলো যে ফুল,
উঠলো গেয়ে বাগে বুলবুল।
খেজুর বিথিকায় পিউপাপিয়া
থেমে থেমে উঠলো ডাকি।

পুরানো রবি আর উঠলোনা সেদিন লজ্জা পেয়ে,
তোমার আলোয় ধরা গেল গো ছেয়ে।
গ্রহ চাঁদ সিতারা উথলে উঠে
তব পায়ে পড়ল লুটি।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

তোমার আগমনে ত্রিভুবনে ত্রিভুবনে পড়ল সাড়া

তোমার আগমনে ত্রিভুবনে ত্রিভুবনে পড়ল সাড়া,
তোমার পরশ পেয়ে উঠল জেগে ঘুমের পাড়া।
তুমি আল আরাবী বিশ্বনাবী।

কোরআনের মশাল জ্বেলে দূর করিলে তুমি অন্ধকার,
মজলুম মানবতার অধরে দিলে হাসির নহর।
তুমি হাবিবাল্লাাহ রাসূলাল্ল্লাহ।
ছড়ালে তুমি বিশ্ব জাহানে শান্তি সুখের অমীয়ধারা।

তোমারি নামটি ধরে ঐ আকাশে পাখি গান গেয়ে যায়,
তোমাতে খুশি হয়ে আল্ল্লাহ তায়ালা সালাম পাঠায়।
তুমি কামলিওয়ালা সাল্লেয়ালা।
তোমার তরে দরুদ পড়ে জিন পরী আর ফেরেস-ারা।


কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

Monday 16 August 2010

কি আর আমি চাইবো বলো চাওয়ার কি বা আছে

কি আর আমি চাইবো বলো চাওয়ার কি বা আছে ?
সব দিয়েছো উজাড় করে
গুনাহগার এই পাপীর তরে,
পাই না খুঁজে চাওয়ার কিছুই প্রভূ তোমার কাছে।

পঞ্চ রিপুর মন্ত্রণাতে পথ ভুলে যাই আমি,
খুঁজতে গিয়ে পথের দিশা
গ্রাস করে ফের অমানিশা
আঁধার কালো ভাবি আলো বেভুল দিবসযামী ॥
তোমায় ভুলি তবুও তো তুমিই রাখো কাছে।

শুকনো পাতার মর্মরে তো সজীবতা সবুজ,
বৃষ্টি ধারায় শুভ্রতা রয়-বুঝেনা এ অবুঝ ॥

চোখের কোণায় বৃষ্টি নামাই পাষাণ পাথর গলে
হৃদয়পুরে বাণ ডেকে দাও
হেদায়াতের বৃষ্টি নামাও
পঙ্কিলতার লেশটুকুও যাক চলে যাক চলে ॥
নিঃস্ব পাপী অধম শুধু এই করুণাই যাচে।

কথাঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
রাতঃ ১.৩২
২৮.০৭.২০১০

তোমার বন্দনার ভাষা খুঁজে পাই না

তোমার বন্দনার ভাষা খুঁজে পাই না,
কোন গানে ডাকি তোমায়
কোন সুরে ডাকি তোমায়
বুঝে আসে না ॥

আ আ আ আ
কোকিলের মত যদি কণ্ঠে থাকিত সুর,
তোমার নামের গান গাইতাম সুমধুর ॥
দোয়েলের মত করে
মুহু মুহু মুহু স্বরে ॥
ডাকা হয় না।

জোছনা বিলিয়ে চাঁদ তোমাকে স্মরে,
সুবাস ছড়ায় ফুল তোমার তরে ॥

সময়ের বাঁকে বাঁকে পথ চলা অবিরাম,
জীবনের প্রয়োজনে অবিরত সংগ্রাম ॥
পাহাড়ের বুক চিরে
ঝর্ণার মত ধীরে / নিভৃতে ধীরে ধীরে ॥
ডাকা হয় না।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
০৩.০৫.২০১০
সন্ধ্যা ৭.৪৫

ও ঝর্ণাধারা বলনা আমায়

ও ঝর্ণাধারা বলনা আমায়
বলনা আমায় বল,
কেমন করে পাহাড় চিরে
জোরে কিবা ধীরে ধীরে
নামাস অথৈ জল ॥

সবাই বলে পাহাড় কাঁদে
তাইতো নামিস তুই,
কাঁদলে আকাশ যেমন করে
ভিজে যমিন ভুই।
আমি বলি এ কোন কথা
ঐ পাহাড়ে কিসের ব্যাথা
সবই মিছে ছল।


তোর ক্ষমতা নাই তো কিছুই
জানি আমি জানি,
“কুন ফায়্যা কুন” বলেন যিনি
তাকেই সবাই মানি।
তাঁর ইশারায় এঁকেবেঁকে
ঐ পাহাড়ের চুড়া থেকে
নামে রহম ঢল।

কথাঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
০৭.১০.২০০৯
রাত ০১.০৩২৮.

আমার এই কণ্ঠের যতটুকু সুর

আমার এই কণ্ঠের যতটুকু সুর,
সবটুকু দান সেই মহান প্রভুর ॥
সুরেরও কারুকাজে নেই তো কিছুই আমার
তবু আমি গেয়ে যাই
যেতে চাই যেতে চাই
আলোর পথে বহুদুর।

কথারও মালা বোনে আকাশের তারা,
সুর নেমে আসে বেয়ে ঝর্ণাধারা ॥
তারাদের কথা আর ঝর্ণার সুরে গান গেয়ে যায়
কণ্ঠে যদি মেলে বেলালের সুর।

প্রভুরও কৃপা ঝরে ছন্দে ছন্দে,
অনত্ম্যমিলের ছোঁয়া বকুলের গন্ধে ॥
ছন্দে ছন্দে বকুলের গন্ধে গান রচে যাই
এ হৃদয়ে যদি মেলে আল্লাহর নূর।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
১৭.০৪.২০০৯

আল্লাহু আল্লাহ আল্লাহু আল্লাহ

আল্লাহু আল্লাহ আল্লাহু আল্লাহ ॥
তোমার নামে দিবানিশি গ্রহ চাঁদ সেতারা
গান গেয়ে যায় ঝর্ণাধারা হয়ে পাগলপারা ॥
আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ ,
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

আকাশ আমায় কথা দিল বাতাস দিল সুর,
তোমার প্রেমের কথা সুরে হৃদয়টা ভরপুর
নাচলো হৃদয়পুর।
মৌমাছিরা গুনগুনিয়ে গায় জাল্লেযালা।

সাগর দিল ছন্দ আমায় নদী দিল তান,
ছন্দ তানে প্রেমের টানে হৃদয়টা আনচান ॥
ফুল পাখিরা ছন্দ তানে
গায় সুবহান আল্লাহ।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
৩০.০৭.২০০৯

আল্লাহ তুমি প্রিয়তম মোর

আল্লাহ তুমি প্রিয়তম মোর
তুমি মহা দয়াময়,
আমার ধ্যানে মন ও প্রাণে
তুমি শুধু প্রেমময় ॥

সুরে সুরে গাহি মহিমা তোমার,
যায় কেটে যায় এই মনেরও আঁধার ॥
নিত্য তোমারে স্মরণ করি
হৃদয়ে তোমার প্রেম নদী বয়।


চোখ মেলে দেখি সৃষ্টি তোমার,
সীমাহনি সৃষ্টি জ্ঞানেরও ওপার ॥
বৃক্ষ কলম যদি জল কালি হয়
তোমার তারিফ তবু শেষ নাহি হয়।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
১৭.০৮.২০০৯

Allahummagfirli

Allahummagfirli warhamni wahdini (2)
Yaa Allah yaa Allah
You have given us our life,
Air and water to our survive.
Given us Rasulallah To guide us to achieve destiny.



You have given beautiful flowers in garden,
Given strength in organs to remove burden.
Allah....... Allah.......
Though there was no cause After getting all those,
We didn't pray/ praise to you
Inni mujrimu fa'fu anni.



You've created the universe for only us,
Made us best of all creation and glorious.
Allah........ Allah.........
We've deviated from the way you gifted.
Ihdinas siratal mustakim

Inni mujrimu fa'fu anni.


Lyric & tune: Abdus Shakur Tuhin

Allah Allah Allah

Allah Allah Allah, La-Elaha Ellallah
Subhan Allah, Al-hamduLillah !!

All things pray to You, only to You.
All are colored by the color of You.
You the Rahim, You the Karim
You the Jallejala.............




We can't find any language
for praising You,
How can we describe
the beautiful morning dew.
We don't know how the sky so high,
We don't know how the birds can fly.
We only know....
All things are created by Allah.

Lyric & Tune : Abdus Shakur Tuhin

গান লিখব বলে যখনই কলম ধরি হাতে

গান লিখব বলে যখনই কলম ধরি হাতে,
তখনই তোমার ছবি ভেসে ওঠে মনের আয়নাতে ॥

খুঁজতে গিয়ে ভাষা, আশা আর নিরাশা
দোলায়িত হয় তনু মন,
তোমাকে পাবার আশা, হয় নাকি সবনাশা
এই ভয়ে কাঁপি সারাক্ষণ।
চাই না বেহেশত আমি, ওগো অন্তরযামী,
তোমার দীদার চাই শেষ দিনেতে।

যোগ্যতা নেই মোর, তোমার বন্দনার ওগো প্রভু দয়াময়,
তবু কেন বারবার, গানের পাখি আমার গেয়ে উঠে সহসায় ॥

হৃদয় কানন মাঝে, নিত্য সকাল সাঁঝে
বাজে তোমার প্রেমের সানাই,
তোমার তরে আমার, ফুল ফোটা সরোবর
নিত্য যে সুবাস ছড়ায় ॥
চাই না যশ ও খ্যাতি, দাও মোরে সুমতি
তোমার পথেই চাই বিলীন হতে।

কথাঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
সুরঃ ইউসুফ বকুল

তার রঙের চেয়ে আর কোন রং

তার রঙের চেয়ে আর কোন রং
শ্রেষ্ঠ কি কভু হতে পারে বল,
ফেরদৌসী সৌরভে মন রাঙ্গাতে
তোমার হৃদয়ে তার রং ঢালো।

তার রঙের সুধা পিয়েছে যে জন
ধন্য যে তার জীবন ও মরণ।
আলোকিত তার হৃদয় ও মন,
নেই সেথা একটুকু আঁধার কালো।

তার রঙের দাবী শুধু নয়তো ঈমান
বক্ষে চেপে ধর সবাই কোরআন।
শয়নে ও স্বপনে মননে
তার বাণী মনে রেখে সামনে চলো।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

দুঃখ সাগরের ঘূর্ণিপাকে

দুঃখ সাগরের ঘূর্ণিপাকে
আটকে গেলে জীবন তরী,
আল্লাহ নামের পরশ তখন
সকল বাধা দেয় যে চিরি।

ব্যথার বানে বিদ্ধ হলে সুখ পাখিটার বুক,
চলার পথে দাঁড়ায় যদি পাহাড়সম দুঃখ।
সাহস কলি সুবাস ছড়ায় হৃদয় কানন ঘিরি।

মনোবলের ভেলা যদি যায় ভেসে অকূলে,
পথের দিশা যায় পাওয়া যায় তাঁকে স্মরণ এলে।

শুকনো পাতা হয়ে ঝরে গেলে মুখের হাঁসি,
সুখের ঘরে জ্বললে আগুন হয়ে সব বিনাশী।
নূরুন নূরে জীবন আকাশ সহসা যায় ভরি।

কথাঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
সুরঃ ইউসুফ বকুল

তাওফিক দাও খোদা তোমার পথে চলার

তাওফিক দাও খোদা তোমার পথে চলার
হিম্মত দাও বুকে তোমার পথে লড়ার ॥

জীবন পথে চলতে গিয়ে আসবে শত বাধা,
সামনে যেন চলি দুর করে সংশয়
হৃদয়ের সকল দ্বিধা ॥
তোমার রহম চাই,
আর কোন পথ নয়
তোমার পথেই মোরে কর রাহবার।

জালিম শাসক অত্যাচারীর ভাঙ্গতে জুলুম বলয়,
খালিদের বাহুবল দাও মোর দুহাতে
আনতে কোরআনের জয় ॥
সুনানে রাসূলের
আলোতে জীবনের
আমানিশা কেটে যাক মনের আঁধার।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

চাই না প্রভূ আর কিছুই আমি

চাই না প্রভূ আর কিছুই আমি
পেয়েছি তোমার রহমাত,
এসেছি ধরাতে বেঁচে আছি আজো
হয়ে রাসূলের উম্মাত।

সৃষ্টি করেছ আমাকে তুমি করেছ বলীয়ান,
দিয়েছ ঢেলে আমার তরে ফুল ফসল অফুরান ॥
আর কি চাই আমি, আর কি চাই বল
পেয়েছি মাখলুকের তখ্‌ত।

তোমার ইশারায় মেঘ ছুটে যায় নদী বয় পাখি গায়,
চাঁদ তারা হাঁসে রাতেরও আকাশে সূর্য আলো ছড়ায় ॥
গান গেয়ে যাই তোমারই প্রেমে আমি
হয়ে প্রভূ আহ্লাদ।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

দয়াল আমার আল্লাহ তুমি

দয়াল আমার আল্লাহ তুমি
আমায় কর পার,
পরপারে পুলসিরাতে
তুমি ছাড়া নেই যে কেউ আমার ॥

পথ ভুলে হয়েছি বিপথগামী,
ছুটেছি আলেয়ার পেছনে আমি দিবসযামী ॥
তুমি ছাড়া করবে কে দূর মোর মনের আঁধার।

সারাক্ষণ করেছি নাফরমানী,
পাপের অতল গহীন দরিয়ার মাঝে ডুবেছি আমি ॥
তুমি ছাড়া করবে কে পার এই পাপের সাগর।

কথাঃ আব্দুস শাকুর তুহিন
সুরঃ সুমন আজিজ

হে খোদা দয়াবান হে প্রভূ রহমান

হে খোদা দয়াবান হে প্রভূ রহমান ॥
তুমি দিয়েছ আমাদের প্রাণ
তুমি গড়েছ বিশ্বজাহান ॥
তুমি করেছ আমাদের অপার করুণা দান।

তুমি দিয়েছ ঝর্ণা ধারা,
পাহাড়ের বুক চিরে রাতেরও আঁধারে
ফুটিয়েছ ফুলসম তারা ॥
ঐ জ্বোনাকী ও পাখি কাড়ে হৃদয় ও মনন।

তুমি দিয়েছ সাগর নদী
গগনে পবনে কাননে অরণ্যে
দেখি শুধুই তোমার অতুল ছবি ॥
ঐ বৃষ্টি মেঘমালা করে হৃদয়ও হরণ।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

কতটা রাত কেটেছে, কতটা দিন কেটেছে

কতটা রাত কেটেছে, কতটা দিন কেটেছে
অবহেলায়-অবহেলায়-
ধরবে তুমি জানি শেষ দিনেতে
প্রতিটি মূহুর্তের হিসেব নিতে
কি জবাব দেব, নাই জবাব নাই।

রাত কেটেছে আলস্যে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে,
সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা এলো ঘনিয়ে।
তোমাকে ডাকা হয়নি তোমাকে স্মরণ করা হয়নি
জানি না কেন যে হায়।

অলিমান্‌ খফা মা ক্বমা রব্বিহি জান্নাতান।

তোমার ভয়ে ভীত হয়ে হয়েছি নত,
আমার যত ভুল, দাও না করে ফুল ক্ষমা কর পাপ যত।
তোমার রহম থেকে হইনি আমি নিরাশ
তুমি রহিম, তুমি রহমান
আশাবাদী আমি তাই।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন।

সুম্মা লা তুস্‌আলুন্না ইয়াওমা ইযিন আনিন্‌ নায়িম

সুম্মা লা তুস্‌আলুন্না ইয়াওমা ইযিন আনিন্‌ নায়িম ॥
তোমার ঐ হাত কে দিল তোমার ঐ পা কে দিল।
তোমার ঐ চোখ কে দিল তোমার ঐ নাক কে দিল।
তোমার ঐ কান কে দিল তোমার ঐ মুখ কে দিল।
বানালো শ্রেষ্ঠ তোমায় কোন সে মহামহীম,
কার ইশারায় তোমার তরে সারা যমিন।
লা ক্বদ্‌ খলাক্বনাল ইনসানা ফি আহ্‌সানি তাকউইম।

হাজারো শব্দ মাঝে শুনলে একটি নাম (আল্লাহু),
কথা বলার ক্ষমতা দৃষ্টি অফুরান (আল্লাহু),
কে দিল তোমার হাতে শক্তি অফুরান
পায়ে চলার ক্ষমতা নাকে মধুর ঘ্রাণ।
ফাবি আইয়ি আলা ই রব্বি কুমা তুকাজ্জিবান।

মায়ের বুকে কে দিল প্রেম ভালবাসা (আল্লাহু),
মাঠে মাঠে সোনার ফসল রঙিন আশা (আল্লাহু),
পথের দিশায় কে দিল অন্ধকারে নূর
হৃদয়ের পাপ কালিমা কে করে দেয় দূর।
ক্বলু আলহামদুলিল্ল্লাহি রব্বিল আ’লামিন ।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

রাত নিঝুম অন্ধকার চারিধার

রাত নিঝুম অন্ধকার চারিধার ॥
জেগে আছি আমি
জেগে আছে দুরের ঐ পাহাড় ॥

জেগে আছে চাঁদের আলো কত শত রাতজাগা পাখি,
জেগে আছে শাখে শাখে ফুল-কলি রঙ্গিন স্বপ্ন পাখি ॥
জেগে আছে ঐ নদী জেগে আছে ঐ সাগর
জেগে আছে শান্ত সরোবর।

জেগে আছে আকাশে কোটি কোটি গ্রহতারা,
গান গেয়ে যায় তারা তোমারি নামে হয়ে পাগলপারা ॥
শুধু আমি এই পাপী ডাকতে পারিনা তোমায়
ক্ষমা কর ওহে পরোয়ার।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

বলতো কার ইশারায় পূব গগনে সুর্য ওঠে

বলতো কার ইশারায় পূব গগনে সুর্য ওঠে
বলতো কার ইশারায় হরেক রকম ফুল ফোটে।
বলতো কার ইশারায়, নদীরা যায় বয়ে যায়
পাখি ডেকে ওঠে।

বলতো কার ইশারায় মেঘের পাহাড় বৃষ্টি ঝরায়
কার ইশারায় কোকিল কুহু কুহু গান গেয়ে যায়।
সাগরের বুকে জোয়ার বল না ইশারা কার ॥
কার হুকুমে ঝর্ণাধারা ছোটে।

বলতো কার ইশারায় শিশির কণা সবুজ ঘাসে
কার ইশারায় তারার মেলা বসে ঐ আকাশে ॥
আকাশের গ্রহ তারা কার প্রেমে পাগলপারা ॥
কার হুকুমে শাপলা শালুক ফোটে।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

চাঁদের আলো এই হৃদয়ে

চাঁদের আলো এই হৃদয়ে
দোলা দিল ঐ চাঁদের আলো,
ঝিকিমিকি ছলাৎ হলাৎ
নদীর জলে শোভা টলোমলো।

কুলুকুলু কলতানে
ঢেউয়ের তালে তালে কি সুর বাজে,
ভাটির টানে ছুটে চলা নদী
মুর্ছনা দেয় সুর হৃদয় মাঝে।
সেই সে গানের সুর হৃদয় কাননে
প্রভুর প্রেমের শত ফুল ফুটালো।

ঝিকিমিকি জ্বলে তারা
দেখে আমি হই আত্মহারা,
সন্ধ্যা রাতের ঐ নীলিম গগন
হৃদয় মননে দেয় প্রেমের নাড়া।
সেই সে প্রেমের সুখ কবির কলমে
আল্লাহ্‌ তায়ালার শত হামদ্‌ ঝরালো।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

আমার ইচ্ছে করে ঐ আকাশের নীল হতে

আমার ইচ্ছে করে ঐ আকাশের নীল হতে,
মেঘের ভেলা হয়ে পাহাড় চুড়া ছুয়ে বৃষ্টি কণা হয়ে ঝরতে।

আমার ইচ্ছে করে সবুজের রূপ ধরে
হারিয়ে যেতে পাতায় পাতায়,
হলদে শাড়ি পরে কদম ফুলের পরে
বর্ষায় রূপেরও মাধুরী ছড়াই ॥
কৃষ্ণচুড়ার বুকে বিলীন করে নিজেকে
ইচ্ছে করে ফাগুনের ফুল হয়ে ফুটতে।

আমার ইচ্ছে করে শান্ত জলাধারে
শাপলা-শালুক হয়ে ভেসে যাই,
সাদা কাশফুল হয়ে শুভ্রতা বুকে নিয়ে
কূলজুড়ে নদীরই শোভা বাড়াই ॥
স্রোতের ভেলায় ভেসে গ্রামের ঐ কোল ঘেষে
ইচ্ছে করে সাগরের মোহনায় মিলতে।

আমার চাওয়া যত সব কিছু মহান প্রভূর করুণা
তার করুণা পেলে আমি আর কিছুই চাইনা।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

এই ধরনীতে যা কিছু রয়েছে

এই ধরনীতে যা কিছু রয়েছে
ঐ আসমানে যত কিছু রয়েছে,
তোমার মহিমা গায় শুধুই তারা।
তুমি অধিপতি, তুমি প্রশংসিত
ক্ষমতার মসনাদে তুমিই খাড়া।

রাতের পরে তুমি দিনের আলো দাও,
শুষ্ক যমিনে বৃষ্টি ঝরাও ॥
অবগত আছ তুমি সকল বিষয়,
প্রকাশ্যে গোপনে যা করি মোরা।

সুরযের আলো আর চাঁদের কিরণ,
দিলে প্রভূ তারকা সাগর উদ্যান ॥
মহাদ্রষ্টা তুমি ওগো দয়াময়,
প্রকাশ্যে গোপনে যা করি মোরা।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

এই পৃথিবীর দিকে তাকালে

এই পৃথিবীর দিকে তাকালে
তোমার নিয়ামাতে হৃদয় দোলে।
ঐ ফুল ও পাখি ঐ বাগান বিথী
যেন প্রভু তোমারই কথা বলে।

গাছ গাছালীর শাখে শাখে
নদ-নদীর ঐ বাঁকে বাঁকে।
তোমারি করুণা ঝরে, অবিরত থরে থরে।
বাতাসের তালে তালে, শনশন সুর তুলে
ধান ক্ষেতে ধান গাছ দোলে দোলে।

ঐ আকাশের নীলে নীলে
অতল গহীন ঐ সাগর জলে।
তোমারি রহম ঝরে, বর্ষার বারিধারে।
পাহাড়ী ঝর্ণাধারা, তোমাতেই দিশেহারা
কুলু কুলু ধ্বনি তুলে বয়ে চলে।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

আব্দুস শাকুর তুহিনঃ ধন্য হলো এই ধরনী

ধন্য হলো এই ধরনী
তোমার অপার দানে,
আকাশ বাতাস চাঁদ সেতারা
হাঁসল খুশি মনে।

ঐ চাঁদ নিল তোমার আভা ঐ সুরুজ ও নিল,
আলোকিত বসুন্ধরা পেয়ে সেই আলো।
তিমির নিশির শেষে প্রভাত এলো ভুবনে।

গোলাপ নিল সৌরভ তোমার শেফালি বকুল,
সুবাসিত বিশ্ব ভূমি পেয়ে শত কুল।
জুটল তোমার প্রেমেরি মৌ হৃদয়ও কাননে ।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

আকাশে মেঘের কোণে, চাঁদ হাসে আপন মনে

আকাশে মেঘের কোণে, চাঁদ হাসে আপন মনে।
তারারা আলো ছড়ায়, সুরুজ ও কিরন বিলায়।
সবি যে তোমার ইশারায়।

সবুজের সমারহে মন হারার কি যে মোহে
কি আছে তাদের মাঝে,
রবির ঐ রোদের পাশে শিশিরও যেন হাঁসে
সকালের সবুজ ঘাসে।
কেন সে মধুর হাঁসি ছড়ায়।

আকাশের বুক হতে কে ঝরায় বৃষ্টি শীতল,
কে দিল মোদের তরে উর্বর এই যে ভূতল।

সাগরের অসীম জলে কে দিল মুক্ত ঢেলে
ঝিনুকের ছোট বুকে,
পেয়ে কার মেহেরবানী সাগরের শান্ত পানি
ফেঁপে ওঠে জোয়ার রূপে।
কেন সে আবার নেমে যায়।

কথা ও সুরঃ আব্দুস শাকুর তুহিন

Sunday 15 August 2010

মালেক ভাইয়ের শাহাদাতের

( আজ ১৫ই আগষ্ট শহীদ মালেক স্বরনে এ গানটি পোস্ট করলাম)

মালেক ভাইয়ের শাহাদাতের
রক্ত রাঙ্গা পথে
হামিদ শাব্বির আইয়ুব ওরা
চলেছে এক সাথে............

...সেই পথেরই শেষ ঠিকানা জানো কি কোনখানে
সেই পথেরই শেষ ঠিকানা জান্নাতের বাগানে
আবে কাওসার আবে হায়াতের পিয়ালা হাতে।।

ফেরদাউসের দরজা হতে আসমানী আহবানে
শাহাদাতের খুশবূ মেখে চলেছে সেইখানে।

বুক ফেটে যায় কান্না ফুরায়
মালেক মালেক বলে
আমার শাব্বির, হামিদ, আইয়ুব
কোথায় গেলো চলে
না না তোমরা আর কেঁদো না
ওরা বেঁচে আছে
ওরা চলেছে একসাথে...............

-খন্দকার রাশিদুল হাসান-